অগ্নি (মুভি রিভিউ)

যেহেতু ভ্যালেন্টাইনস ডে, তাই শঙ্কা ছিল সিনেমা হলে অধিকাংশই জোড়ায় জোড়ায় থাকবে । তাই বন্ধুকে বোরকা পরিয়ে হলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। বন্ধুকে এই..

এরশাদোলজি (রম্য)

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, নারীদরদীয়া প্রেমিক পুরুষ আলহাজ হোমিওপ্যাথিক এরশাদ ওরফে পল্টিবাদি লাফাইন্যায়ে ডিগবাজীকে নিয়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। আজকের আলোচনা অজ্ঞানে বিজ্ঞানে সজ্ঞানী এরশাদ।

ফেসবুকে প্র্তারনার হাত থেকে সতর্কতা

আপনার অনেক পরিচিত কারো ফেইক আইডি খুলে আপনাকে হয়ত ফাদে ফেলানো হবে, আপনার গার্লফ্রেন্ড, আপনার বন্ধু সেজে আপনাকে ফাদে ফেলানো হবে। আর লুল বালক হলে তো কথায়ই নেই, মিষ্টি কথাতেই আপনার ঘুম হারাম করে দেবে।

ইশি (ছোটগল্প)

বিল্ডিং গুলোর ছুটে চলা খুব উপভোগ করছে ইশি। কিন্তু একটু পরেই বিল্ডিং গুলো দৌড় থামিয়ে দিল। এই জ্যাম একদম ভাললাগেনা ইশির। সবকিছু কে থামিয়ে দেয়। তবে পথের নোংড়া ছেলেমেয়ে গুলো জ্যাম কে খুব ভালবাসে।

আজব প্রশ্নের গজব উত্তর

প্রশ্নঃ দেশে জনসংখ্যা কমানোর জন্য কি কি করা যায়? উত্তরঃ বিবাহ করা থেকে নারী পুরুষ কে বিরত থাকার জন্য উদবুদ্ধ করতে হবে। স্বামী স্ত্রীর বিছানা আলাদা করা যায়। বিছানা এক হলেই মহামারী দেখা দেবে এমন আতঙ্ক ছড়ানো যায়

বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০১৪

আজব প্রশ্নের গজব উত্তর | পর্ব-১১ (রম্য)

প্রশ্ন: প্রেমিকার কলেজের সামনে আপনি কী হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে.থাকেন?

উত্তর: ককটেল। পিকেটিং করি।

প্রশ্ন: ফোন নাম্বারটা দেউ…

উত্তর: খালেদা জিয়ার না হাসিনার?

প্রশ্ন: এক কথায় বিশ্লেষণ করেন – এই গাভি দুধ দেয় না কেন ?

উত্তর: এই গাভির বিয়ে হয়নি। এখনো কুমারী।
[প্রথম তিন টা রাজি ভাইয়ের]
প্রশ্ন: নাকে কাপড় চাপা দিয়ে রাখছ
ক্যান?

উত্তর: আপনি দুই সপ্তাহ ধরে গোসল
না করায় ……… বাকিটুকু আর বললাম না

প্রশ্ন: গাধা আর আপনার মধ্যে মিল
কোথায়?

উত্তর: গাধা আমাকে প্রশ্ন করে,আর
আমি তার উত্তর দেই দুটি #পরিপূরক কাজ কি সুন্দর ভাবে চলে আমাদের দিয়ে।

প্রশ্ন: আপনি এখন বাচ্চা থাকলে কি কাজ করতেন যা এখন করতে পারেন না?

উত্তর: যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করিতাম
(এইডা গ্যান্দা কালের) মাইয়াগো বেঞ্চে চুইংগাম লাগায়া রাখতাম (এইডা একটু বড় কালের)

প্রশ্ন: ৫ বছরের সিনিয়র কোনো মেয়ে আপনার সাথে প্রেম করতে চাইলে কি করবেন?

উত্তর: মাইয়া সুন্দরী হইলে তার বিয়ে হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রেম করবো । বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর শাশুড়ি পোস্টে পাঠিয়ে দেবো।

প্রশ্ন:  পড়েনা চোখের প্লক … টিং! এড মি … আই এম ব্লক ! দোহাই
লাগে… বন্ধু আমায়… একটু ফলো করো… আমি লাইক হারাবো ! রিপোর্ট খাবো… খোঁচাতে পারবেনা কেউ… ও ও ও ও…

উত্তর:-বন্ধু তিনদিন তোরে অ্যাড
দিলাম, একসেপ্ট করলিনা, বন্ধু তিনদিন।অ্যাড পাঠাইতে ৫ কেবি, ইগনোর করায় ১০ কেবি। ওয়েটিং এ ১৫ কেবি উসুল হইলো না,এবার তুই ব্লক খা!

প্রশ্ন: ও বন্ধু কেনো ভালোবাসনি ?

উত্তর: আব্বু-আম্মু মানা করসে!

প্রশ্ন: নৌকা নাকি ধানের শীষ ????

উত্তর: তার আগে কন আপনারে.শেখ হাসিনা না খালেদা জিয়া পাঠাইছে? আমি বুঝিনা আমাকে নিয়ে উনারা এতো টানাটানি করছেন কেন? প্রতিদিন ফোন,.ইমেইল উফ যন্ত্রনা

শনিবার, ২৪ মে, ২০১৪

ধর্মকে গালি দেওয়া নাস্তিক রা আঙ্গুর ফল টক নীতিতে বিশ্বাসী

সচরাচর এমন কিছু ছাত্রকে দেখা যায় যারা মোটামুটি মানের ভালো তবে একটু বেশি বোঝে।
   এই যেমন ম্যাথ কিংবা ফিজিক্সের জটিল টাইপ কোনো অংক তাকে দেয়া হল, সে কিছুক্ষন মেলানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হল। তারপর ঘোষনা দিয়ে দেবে, "আরে ধুর এই অংকে ভুল আছে। কি বালের প্রশ্ন বানাইছে যে ভুল ভাল অংক দেয়।" তারপর প্রশ্নকর্তা কে গাঁজাখোর মাতাল হাবিজাবি বলে গালি দিতেও পিছপা হবেনা।
কিন্তু দেখা যাবে কোনো শান্ত মাথার মেধাবী অথবা অন্যকেউ ঠিকই সেই জটিল অংক সমাধান করে ফেলবে। অর্থাৎ প্রশ্নকর্তা যে সঠিক ছিল সেটাই প্রমান করবে। মাঝখান দিয়ে কিছু বেশি বোঝা ছাগল, "শিয়ালের আঙ্গুর ফল টক নীতির" দ্বারা ভুল ভুল বলে প্রশ্নকর্তা কে গালি দেবে।

ধর্ম নিয়েও এক শ্রেনীর মানুষের মাঝে "ধর্ম খারাপ ধর্ম খারাপ" প্রমানের চেষ্টা দেখা যায়। আচ্ছা করুক সেটা যুক্তি তর্ক দিয়েই করুক। কিন্তু বুঝিনা এরা কোন যুক্তিতে ধর্মকে গালাগাল করাকে বাকস্বাধীনতা বলে? পাগল যতই অশ্রাব্য গালাগাল করুক, আমাদের কাছে কিন্তু সেটা পাগলের বাকস্বাধীনতা ;-)

যুক্তিই পারে একটা জিনিস কে ভুল এবং সঠিক প্রমান করতে। যে যেদিকে যুক্তি খাটাবে সেই অনুযায়ী ফল পাবে। আমার মনেও ধর্মের অনেক কিছু নিয়ে প্রশ্ন জাগে। সেগুলো কে হুটহাট ভুল বলে ঘোষনা দেই না, বরং কোন যুক্তিতে সেটা সঠিক তা ভাবার চেষ্টা করি। এইসব পাতি নাস্তিক গুলোর মনে প্রশ্ন জাগলেই লাফায় আর  সেটাকে ভুল প্রমানের চেষ্টা করে। এবং পরে গালি দেয়। তুমি ধর্ম কেই গালি দেও, বা আমাকেই গালি দেও না কেন, গালির জন্য তোমার চামড়ার উল্টো পিঠে লবণ মাখানো জায়েজ আছে।

কোনো তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে যুক্তি লাগে, গালি দিয়ে কিছুই হয় না। সোজা কথা তুমি আমার ধর্মকে গালি দিবা আর আমি তোমার চামড়ায় লবণ না লাগিয়ে তেল লাগাবো এটা কখনোই আশা কোরোনা।

শুক্রবার, ২৩ মে, ২০১৪

কিছু ক্ষুদ্র জোকস (রম্য)

১|
বল্টু ঝকমকা ড্রেস পইরা কলেজের বারান্দা দিয়া ক্লাসে যাইতাছে। পাশে একটা সুন্দরী মাইয়াও বল্টুর ঝকমকা ড্রেস দেখতে দেখতে যাইতাছে।

বল্টু মাইয়ারে কয়,
-তেলাপোকা তেলাপোকা তেলাপোকা……

মাইয়া বল্টুরে কয়,
-তুই তুই তুই………

আর তখনই
মাইয়া একটা তেলাপোকা পাড়ায়া দিছে চিল্লানি।

বল্টু: আগেই কইছিলাম তেলাপোকা।

[মোরাল অফ দ্যা স্টোরি:
মাইয়াগো কইলে এক, বুঝে আরেক]

২|
আমার এক ফ্রেন্ড তার গার্লফ্রেন্ডের নাম সহ তার উপর ভালোবাসা দেখিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে।
নিচে স্যার কমেন্ট দিয়েছে "carry on"

৩|
-দোস্ত গুড়া দুধের নাম তো শুনছোস,
আমি গুড়া পানি বানাইছি। এখন
গুড়া দুধের মত মানুষ গুড়া পানিও
কিনতে পারবে।
*আরে বলদ যেইডা বানাইছোস,
ওইডা গুলাইতে গেলেও তো পানিই
লাগবো

৪|
*নাম কি?
-বিলকিস
*কাল থেকে বিল বাদ, শুধু কিস হলেই
চলবে

৫|
-দেখো দেখো একটা চোর এসেছে।
আমার বানানো নুডলস খেয়ে যাচ্ছে
:কোনটা আগে ডাকবো? পুলিশ
না অ্যাম্বুলেন্স?

বুধবার, ২১ মে, ২০১৪

আমি শুধু চেয়েছি তোমায় | যৌথ প্রযোজনার ভারতীয় সিনেমা (মুভি রিভিউ)

হলে ঢুকেই লম্বা লাইন দেখে কিছুটা অবাক হলাম। কোনো সিনেমা মুক্তির তৃতীয়-চতুর্থ দিনে এমন লম্বা লাইন দেখা যায়না। ব্যলকনি তে গিয়েই দেখি প্রায় সব সিটই দখল হয়ে গেছে। মহিলা দর্শকের সংখ্যা অন্য সিনেমার তুলনায় অনেক বেশি। এদিক ওদিক তাকিয়ে ফ্যানের নিচে একটি সিটে গিয়ে বসলাম। সিনেমা শুরু হতে হতে আরেকটা মেয়ে এসে বামপাশের সিটে বসল।

উল্লেখ্য গত ১৬ই মে বাংলাদেশ ও ভারতে একযোগে মুক্তি পেয়েছে অঙ্কুশ ও শুভশ্রী অভিনীত "আমি শুধু চেয়েছি তোমায়", সিনেমায় এপার বাংলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র মিশা সওদাগর। কোলকাতার সিনেমা নায়ক নায়িকা কে নিয়েই আবৃত হয়। তাই দেখার বিষয় ছিল মিশা সওদাগরের চরিত্রটি কত গুরুত্ব পায়। পাশে উচ্ছ্বসিত মহিলা দর্শক নিয়ে দেখা শুরু করলাম সিনেমা "আমি শুধু চেয়েছি তোমায়"

কাহিনী সংক্ষেপ:
অভি (অঙ্কুশ) বাল্যকালে ভূমির (শুভশ্রী) সাথে বন্ধুত্বের চেষ্টা করে। কিন্তু ভূমি অভির সাথে বন্ধুত্ব করে না। ঘটনাক্রমে অভি ভারতে পাড়ি জমায়। ঠিক বারো বছর পর ভূমিও দার্জিলিং এ পাড়ি জমায় পড়াশোনার জন্য। এ বারো বছর অভি ভূমির অপেক্ষা করেছে।। ভূমি কে পাওয়ার জন্য অভি একই কলেজে ভর্তি হয় মিস্টার পার্ফেক্ট সেজে। যে কিনা সবার চোখে খুবই ভদ্র ছেলে, ধূমপান, মদ্যপান করে না, মেয়েদের দিকে তাকায় না।

কলেজে ঢুকেই ভূমি অভির সম্পর্কে ইতিবাচক ধারনা পায়। কিন্তু অভি যখন ভূমিকে কিস করে তখনই অভির সম্পর্কে তার ধারনা ইতিবাচক থেকে নেতিবাচকে রূপ নেয়। ভূমি কে কেউ লিফট দিলে অভি তার গাড়ি ভেঙ্গে দেয়, ভূমির সাথে সবসময় ছায়ার মত লেগে থাকে। ঘটনাক্রমে ভূমি বিক্রম কে ভালোবাসে। ভূমির বাবা এটা জানতে পেরে ভূমিকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

অভি ভূমিকে বিক্রমের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ভূমিদের বাড়িতে আসে। এক পর্যায়ে অভির সাথে ভূমির বিয়েও হয়ে যায়। তবুও অভি ভূমিকে বিক্রমের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করে। বিক্রমের অতিমাত্রায় বিবেক হীনতা, ভূমির পুতুল হয়ে থাকা আর অভির মহাপুরুষ চরিত্র নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে সিনেমা।

সিনেমাটি নিয়ে কিছু কথা:

সিনেমাটি হায়দ্রাবাদের আল্লু অর্জুন অভিনীত আরিয়া এক দিওয়ানা সিনেমার হুবুহু কপি যেটা কোলকাতার বাণিজ্যিক সিনেমার ক্ষেত্রে সাধারন ঘটনা। পরিচালক নিজস্বতা বলতে কিছুই দেখাতে পারেননি। শুধু ভাষা আর অভিনয় শিল্পী গুলো পরিবর্তন করেছেন।

ভূমি যে কলেজে ভর্তি হয়েছিল সেটা দেখে মনে হয়েছে, "পাগল দের এবার গতি হল বুঝি"। কারন এই কলেজের প্রতিটা ছাত্র ছাত্রীই "ফিটনেস বিহীন ক্যারেক্টার"। কেউ কোনো কথা তিন বার করে রিপিট করছে, কেউ বা কখন জাগে কখন ঘুমায় তার ঠিক নেই, আবার কেউ বায়োলজি ডিপার্টমেন্ট ছেড়ে প্রতিবারই ভুল করে সাইকোলজিতে চলে আসে। পুরো কলেজে একটাই মাত্র পার্ফেক্ট স্টুডেন্ট সে হল অভি (মাইরালা টাইপের ইমো, পাগল দের ভিত্রে এইডা কি করে?)। আরো আশ্চর্যের বিষয় হল ভূমির ভর্তি হওয়ার কথা জেনেই অভি কলেজে ভর্তি হয়। তো এর ভিতরেই সে কিভাবে পুরো কলেজে নিজের "মি. পার্ফেক্ট" ক্যারেক্টার বানিয়ে ফেলল সেটা ভাবনার বিষয়।

কলেজে বায়োলজি নামে একটা ক্যারেক্টার আছে যাকে কিনা সবসময় সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টেই দেখা যায়। বায়োলজি ভূমি কে লিফট দেয়ার পর অভি তার কভারে মোড়ানো গাড়ি নিয়ে বায়োলজির গাড়িকে ধাওয়া করে। বায়োলজি গাড়ি থেকে নেমে পড়লে অভি বায়োলজি কে ধাওয়া করে। কিন্তু সেই ফাকে কি করে বায়োলজির গাড়ি অভি হাওয়া করে দিল তা ভাবনার বিষয়।

ভূমির নতুন ফ্ল্যাটে বসে অভিকে মদ খেতে দেখা গেলো। সেটা কি করে অভির ফ্ল্যাট হয়ে গেলো তা বোঝা গেলো না। কভারে মোড়ানো গাড়িটা যে অভির এটা কারো জানার কথা নয়। কিন্তু বিক্রম কে দেখা গেলো সেই কভারে মোড়ানো গাড়ি দিয়ে নিজের গাড়িকে এক্সিডেন্ট করানো। যাতে ভূমি মনে করে অভিই বিক্রম কে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বিক্রম জানলো কি করে ওটা অভির গাড়ি? আবার সে নিজেই গাড়িটা ড্রাইভ করলো। তার মানে কি অভি নিজেই বিক্রম কে গাড়ির চাবি দিয়ে বলেছিল, "যা বাবা তোর গাড়িটাকে এক্সিডেন্ট করিয়ে আমার উপর দোষ চাপা"

বিক্রম চরিত্রটাকে সাধারন বিবেক বুদ্ধিহীন ভাবে এবং অভিকে অতি মহানুভব ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যা অনেক ক্ষেত্রেই চরম বিরক্তিকর ছিল।

অভির বাবাকে পুরো সিনেমায় দুইবার দেখা গেছে। শেষের দিকে পরিচালক মনে হয় ভুলেই গিয়েছিলেন অভির একজন বাবা রেখেছিলাম। বেশ কয়েকটি চরিত্রের কথা  পরিচালক বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন অথবা অনর্থক চরিত্র সৃষ্টি করেছিলেন। গান গুলো এবং চিত্রায়ন সুন্দর ছিল। আমার মনে হয় ভারতীয়রা হৃদয় খানের গান দুটি বেশ উপভোগ করেছে।  

সিনেমার অর্ধেকের বেশি অংশ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আবর্তিত হয়েছে। অভি ও ভূমির বিয়ের অংশটাও বাংলাদেশী রীতিতে করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশী অভিনয়শিল্পীরা মোটেও গুরুত্ব পায়নি। পুরো সিনেমায় ছিল ভারতীয়দের আধিপত্য। এমন কি বাংলাদেশ অংশেও ভারতীয়দের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। মিশা সওদাগর কেও ততটা গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করা হয়নি। যার অর্থ দাড়ায় এটি যৌথ প্রযোজনার মোড়কে একটি ভারতীয় সিনেমা।

ভারতের ট্রেইলারে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুধু এস কে মুভিজের নাম আছে। বাংলাদেশের এ্যাকশন কাটের নাম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নয়,  পরিবেশক হিসেবে আছে। "আমি শুধু চেয়েছি তোমায়" যৌথ প্রযোজনার নয় যৌথ পরিবেশনার সিনেমা।  এটাকে ভারতীয় সিনেমা ঢোকানোর প্রাথমিক প্রচেষ্টা বলেও ধরা যায়।

সিনেমাঃ- আমি শুধু চেয়েছি তোমায়।
পরিচালকঃ- অশোক পাতি, অনন্য মামুন।
প্রযোজকঃ- অশোক ধানুকা
হিমাংশু ধানুকা।
অভিনেতাঃ- অংকুশ হাজরা, শুভশ্রী গাঙ্গুলী, মিশা সওদাগর।
সুরকারঃ- স্যাভি গুপ্ত,
হৃদয় খান।
চিত্রগ্রাহকঃ- জে. যুবরাজ
স্টুডিওঃ- ডিজিল্যাব রেকর্ডিং স্টুডিও।
বণ্টনকারীঃ- এসকে মুভিজ, অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট।
মুক্তিঃ- ১৬ই মে, ২০১৪
দেশঃ- ভারত -বাংলাদেশ
ভাষাঃ- বাংলা

মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০১৪

বাণীসমগ্র - ৩

১) একটা সময় কিছু মানুষ খুব বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যায়। তার আত্মকেন্দ্রিকতায় সে নিজে যাই কষ্ট পাক, যাদের মনে জায়গা করে নিয়েছিল তারাই বেশি কষ্ট পায়।

২) আপনি চরম লেভেলের ভাগ্যবান না হয়ে যদি মোটামুটি ভাগ্যবান হোন তবে মেয়েরা আপনার উপর ক্রাশ খাবে, ইশারা ইঙ্গিতে আপনার প্রতি তার দূর্বলতা, ভালোবাসা, অধিকার প্রকাশ করবে। বাকি কাজ টুকু আপনাকেই করে নিতে হবে।

৩) একটি রিলেশনশীপে দুজনকেই কম বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। একজন দায়িত্বশূণ্য হয়ে গেলে অপরজনও তার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পারবে না। একচক্রযান কখনোই বেশিদূর যেতে পারেনা।

৪) পাঠকের আগ্রহ স্ট্যাটাসের আকারের ব্যাস্তানুপাতিক।

৫) ঝগড়া বিহীন প্রেম, লবণ বিহীন তরকারী। 

৬) বিশেষ দিন গুলো কে নিয়ে আমার কখনোই আগ্রহ থাকে না। সাধারণ দিন গুলোকে বিশেষ বানিয়ে ফেলার মজাই আলাদা। 

৭) মধ্যরাতের  সময়টাতে মস্তিষ্কে অদ্ভুত রোমান্টিকতা খেলা করে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের মাঝেই। আপনার প্রিয়তমা কে আর্দ্র ভালোবাসায় সিক্ত করার মোক্ষম সময় বলা যেতে পারে। দুজনের মন এসময় খুব কাছে চলে আসে দেহ যতই দূরে থাকুক।

৮) ফেসবুকে লেখকের সংখ্যা বাড়ছে, কমিউনিটি ব্লগ গুলো মরে যাচ্ছে।

৯) বন্দুকের গুলি,
ফেসবুকের পোক,
আর ফেসবুকের মেসেজ
এই তিন টা জিনিস ছুটলে
আর ফেরানো সম্ভব না।
ভুল জায়গায় ছুটলে কপাল খারাপ

১০) কেউ যদি পরম মমতায় আপনার মাথার চুল টেনে দেয় তবে বুঝবেন আপনি সবচেয়ে আরামদায়ক সময় পার করছেন। আর সেটা যদি মায়ের হাত হয়, তবে আপনি নিজেকে স্বর্গে আবিষ্কার করবেন।

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪

যৌথ প্রযোজনার নামে ভন্ডামি

আমাদের সামনের দিন গুলো খুব খারাপ। "আমি শুধু চেয়েছি তোমায়" এটা যৌথ প্রযোজনার নামে ভন্ডামি ছাড়া কিছুই নয়। প্রধান চরিত্রে নেই এতে কোনো বাংলাদেশি অভিনেতা । আগামী কাল বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে অঙ্কুশ ও শুভশ্রী অভিনীত সিনেমা "আমি শুধু চেয়েছি তোমায়" । এই সিনেমা টা বাংলাদেশে চললে পুরো লাভ টা ভারতীয় দের হবে। একমাত্র হৃদয় খানের কম্পোজিশন ছাড়া সিনেমাটিতে কি "বাংলাদেশিত্ব" আছে জানা নেই। আসলেই কোনো বাংলাদেশিত্ব নেই। বাংলাদেশকে শুধু ব্যবহার করা হয়েছে।  বাংলাদেশের অনেক সিনেমাই থাইল্যান্ড কিংবা মালয়েশিয়ায় চিত্রায়ন হয়। তাই বলে সেগুলো যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নয়। যৌথ প্রযোজনার সিনেমার উদাহরন হিসেবে বলা যায় শ্রীলংকার সাথে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত "মিস লংকা" কিংবা ভারতের সাথে "মনের মাঝে তুমি" সিনেমার নাম। যেখানে উভয় দেশের অভিনেতা সমান গুরুত্ব পেয়েছে।  "আমি শুধু চেয়েছি তোমায়" সিনেমাটা হায়দ্রাবাদের আল্লু অর্জুন অভিনীত "আরিয়া এক দিওয়ানা" সিনেমার হুবুহু কপি। অনন্য মামুন কে এখানে সহকারী পরিচালক হিসেবে দেখানো হয়েছে। মামুন সাহেব কেন প্রতিবাদ করেনি তা আসলেই রহস্য। তাকে কমিশন খোর এজেন্টই মনে হয়েছে। এটা বাংলাদেশে ভারতীয় সিনেমার প্রবেশের প্রচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।  ভাবতেই অবাক লাগছে আমাদের সিনেমাটা যখনই মাথা তুলে দাড়াতে চাইছে তখনই এর কোমর ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে যৌথ প্রযোজনার নামে ভারতীয় ছবি চালিয়ে। আমি এটুকু জানি বাংলাদেশিরা তুমুল উতসাহে এ সিনেমা দেখবে। এসব ক্ষেত্রে দেশপ্রেম নিষ্ক্রিয় দর্শক। গুন্ডে নিয়ে লাফালাফি করে আলগা দেশপ্রেম দেখানো জাতি আমরা। আমরা খেলার সাথে রাজনীতি মেশাই না, ধর্ম মেশাই। সংস্কৃতির সাথে রাজনীতি মেশাই না, নিজের ল্যাংড়া  খোড়া বিবেক কে মেশাই। ল্যাংড়া খোড়া স্বনির্ভর নয়। জয় ভারতীয় সিনেমা। স্বাগতম ভারতীয় সিনেমা। বাংলাদেশি সিনেমা এখন মৃত্যূসজ্জায়। আসুন আমরা একে গলা টিপে মেরে দাফনের ব্যবস্থা করি।

সোমবার, ১২ মে, ২০১৪

আমরা সবাই কিন্তু মা কে ভালোবাসিনা

আমরা সবাই কিন্তু মাকে ভালোবাসিনা। হ্যা আমরা সবাই কিন্তু মাকে ভালোবাসিনা। আপনি আপনার আশেপাশে খেয়াল করলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। অনেকেই তার মাকে পর্যাপ্ত সম্মান টুকু দেয় না। কোনো তুচ্ছ ঘটনা নিয়েও মা কে গালাগাল করা এমন কি গায়ে হাত তোলার মত ঘটনাও ঘটে। পরিবারের আদুরে মেয়েটি মাঝে মাঝেই মায়ের সাথে উচু গলায় কথা বলে যা মায়ের মন কে কাদিয়ে দেয়। আবার অনেক সন্তান বড় হয়ে গেলে তার মায়ের প্রতি পর্যাপ্ত খেয়াল রাখে না। অবহেলিত মা সবসময়।  অভিজাত পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সব স্তরেই উল্লেখযোগ্য ভাবে মায়ের প্রতি অবহেলা দেখা যায়। আপনি বউ পেটানোর সময় আপনার সন্তানের মায়ের কথা ভুলে যাচ্ছেন। আবার আরেক শ্রেণীর মানুষ কথায় কথায় মা তুলে গালি দেয়। মন কে হুকুম দেয়,
"কি?? ও এইটা করছে?? যা ওর মা রে গালি দে। রিটার্ন নিতে ভুলিস না।"
এভাবে মা নিয়ে গালি বিনিময় প্রথার মাধ্যমে অধিকাংশ মা'ই গালি খাচ্ছে। আমি সংখ্যা লঘিষ্ঠ দের নিয়ে ভাবছি না। আমি সংখ্যা গরিষ্ঠ মায়ের কথা বলছি। উপরের ঘটনা এবং বাদ পড়া অন্যান্য ঘটনা মিলিয়ে দেখবেন ভাগ্যবান মা সংখ্যা লঘিষ্ঠ।

রবিবার, ১১ মে, ২০১৪

১৮+ হয়েই গেলাম।

ইয়াপ্পি…
১৮+ হইয়া গেছিগা। এখন আমারে ঠেকায় ক্যাডা? সবকিছু উড়াইয়া দিমু।
রেড এ্যালার্ট… রেড এ্যালার্ট… রেড এ্যালার্ট…

১০ই মে ছিল আমার জন্মদিন।

কিছু ক্ষেত্রে রিয়েল লাইফের তুলনায় ভার্চুয়াল লাইফ টা বেশি উপভোগ্য হয়। তা বোঝা যায় জন্মদিন এলে। এত্ত এত্ত উইশ সত্যিই খুবই ভালো লাগে।
দুই আইডির ওয়াল, ইনবক্স, টুইটার, জি+, আস্ক এফএম মিলিয়ে প্রচুর মানুষ উইশ করেছে যা আমার আশার চেয়েও বেশি ছিল।

বিশেষ করে ফেসবুকে আমার দুইজন প্রিয় ব্যক্তি ময়লা বাবা এবং আলিম আল রাজী ভাইয়ের উইশ আমার জন্য স্পেশাল ছিল।

আবার দিশা তো আমাকে উইশ করে চমকে দিয়েছিল। তার উইশ টা আমার জন্য খুব স্পেশাল ছিল।

মাইশা নুসরাত ফোনে, এফবি তে উইশ করেই হাওয়া। দিনের বেলায় অবশ্য সারপ্রাইজ দিয়েছে।

সকালের দিকে সজনী আমাকে উইশ করে। ও এফবি ব্যবহার করেনা। তাও আমার বার্থডে মনে রেখেছে এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। 

শেষ বেলায় লাজুকের উইশ টাও খুব ভালো লেগেছে। যদিও ওর প্রতি একটু রাগ ছিল। ওর উইশের পর রাগ টা কেটে গেছে।

অনন্যা অনু বারোটা বাজার পরই স্ট্যাটাস ট্যাগ দিয়ে উইশ করে সাথে তো ওর ফাইজলামী ছিলই।

ভেবেছিলাম অনন্যা রুজদানী আমাকে উইশ করবে না। তবুও ও করেছে এটা খুব ভালো লেগেছে।

শাওরীন স্নেহা হারামীটার কাছ থেকে আরো আগে উইশ আশা করেছিলাম।

ফারনাজ নওমী কালেভদ্রে এফবি তে আসে। তার মাঝ থেকে উইশ করে মন টাই ভালো করে দিয়েছিল।

তাসনীম আনিসা উইশ করার পর বেশ কিছুক্ষন আড্ডাবাজী করেছে।

ইশরাত জাহান প্রমি সবসময় জান জুন বলে আমাকে শক দেয়। ফাজিল টাইপের ভালো মেয়েটা কালও উইশ করে চমকে দিয়েছে।

কাসফিয়া তন্না জাপান থেকেও স্মরণ করেছে।

ছোট পাকনি আপু মার্জু উইশ করতে ভোলেনি।

শেষাদ্রীর হাওয়ারে লাইত্থানো দরকার্। একেবারে শেষ বেলায় উইশ করেছে।

টুইটারে রাইসা আপু কিভাবে আমার বার্থডে টের পেলো তা আমার কাছে রহস্য।

পিয়া হাসনাইন আস্ক এফ এম এ এনোনিমাসলি উইশ করেও ধরা খেয়ে গেছে।

জি+ নাদিরা আপু অনেক আন্তরিক ভাবে উইশ করেছে।

জেনেলিয়া জেনী আমাকে পর দিন সকালে উইশ করেছে।

পিকু আমাকে উইশ করেনি।

স্পর্শিয়া অরিন, জেরীন সামারা, সুমাইয়া সুলতানা আদিবা, রিমা ওবায়েদ,  তাসনীম তামান্না জুঁই, অপ্সরা সিজেল আপি সবাইই আগেভাগেই উইশ করেছিল।

বর্ষণ কয়েকদিন আগে থেকেই বার্থডে নিয়ে কথা বলছিল। উইশের আগেই ওর খাওয়া দাওয়ার চিন্তা।

এস কে নূর মোহাম্মদ উইশ করেই আইডি ডিএক্টিভ করে দিয়েছিল।

আমার এত ছেলে ফ্রেন্ড উইশ করেছে যে সবার নাম লেখা আসলেই সম্ভব নয়।

সুমন হারামী আমাকে উইশ করার কথা ভুলেই গিয়েছিল। ওকে আমিই ফোন দিয়ে এফবি তে ঢুকতে বললাম।

আবির হারামী দুই আইডিতেই উইশ করেছে।

আব্দুল বাসিত ভাইয়ের উইশ টা মজাদার ছিল।

সজীবও দুই আইডিতে উইশ করেছে।

হীরকও উইশ করেছে।

সুদীপ্ত  আমাকে উইশ করার কথা ভুলেই গেছে। হারামীটা পর দিন উইশ করেছে।

যাই হোক অনেক মানুষ উইশ করেছে এতেই আমি খুশি।

শুক্রবার, ২ মে, ২০১৪

জ্বীনের বাদশা ও আমি (রম্য)

গতকাল রাতে আমাকে জ্বীনের বাদশা ফোন দিয়েছিল। ফোন দিয়ে লম্বা একটা সালাম সহ বলে,

"আমি জ্বীনের বাদশা বলছি। তুই খুব ভাগ্যবান। তুই যদি একটা আমল করিস ও এক লক্ষ টাকা বিকাশ করিস তবে তোর ঘরে একটা ভালো জ্বীন নামবে। জ্বীন নামাতে হলে অবশ্যই আমল টা করা লাগবে নয়তো তোর ক্ষতি হবে।"

এই টাইপের কিছু একটা বলছিল। আমি কইলাম, "আইচ্ছা ভাই টাকা পাঠায়া দিমুনে, আপনি জ্বীন রে পেলেনের টিকিট কাইটা দেন আমি ডাউনলোড কইরা নিমুনে।"

বাদশা বলে, "ওরে মূর্খ আমাকে হুজুর বল।"
কি জানি একটা গালি দিছিলাম ঘুমের ঘোরে। সকালে উইঠা ভাবলাম ব্যাটার সাথে খাজুইরা আলাপ করলে মন্দ হইতো না। তাইলে এই প্রশ্ন গুলা জিগাইতাম। 

১)আইচ্ছা ভাই আমলে ভুল
হলে  কি হিজরা জ্বীন নামার কুনু চান্স আছে??? আমি আবার হিজরা গো দেখলেই ভয় পাই
:( :(

২) ভাইজান, মহিলা জ্বীনগুলার ফ্যাশন সচেতনতা কিরকম? তারা কি ক্রিম ব্যাবহার করে? তাদের  ওইখানেও কি ফেয়ার এন্ড লাভলী আছে? তারাও কি মানুষের মত ময়দা লাগায়?এইটা  নিয়ে আমি একটা গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখতে চাই, আপনার সাহায্য অনেক কাজে দিতো।

৩)ওদের কি আওয়ামী লীগ
বিএনপি আছে? ওদের স্বাধীনতার ঘোষনা দিছে কেডা? এই
নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।

৪) জ্বীনের কি চুল দাড়ি গোফ আছে?
থাকলে ওরা কোন সেলুনে চুল কাটে? ওরা কি স্পাইক করে? :-P

৫) এই গরমে আমার একটা এসি দরকার। একটা গীটারও লাগবো। জ্বীন হেল্পাইতে পারবে?

৬) জ্বীনদের দেশেও কি আম্রিকা আছে। ঐখানে কি ডিভি লটারী হয়? :-P

৭) ১৮-১৯ বছর বয়সী মহিলা জ্বীন (অবশ্যই রূপবতী ও গুণবতী হইতে হইবে, সাথে 36-24-36 হইলে ভালা হয়) নামানোর উপায় কি? আর নামায়া কি তারসাথে প্রেম করা যাইব? গেলে কি তারে রোজ রোজ আমার গার্লফ্রেন্ডের মত কেএফসিতে নিয়া খাওয়াইতে হইব? মহিলা জ্বীনদের প্রিয় খাইদ্য কি? আর ধরেন একটা মহিলা জ্বীন নামায়া তারে আমি বিয়া কইরা ফেল্লাম। এরপরে বাচ্চা কাচ্চা হইলে তাঁরা কী হইব- মানুষ, জ্বীন, নাকি জ্বীনুষ? মানুষের লগে কি জ্বীনের ক্রস করা যায়?

৮) জ্বীন রাও কি ফেসবুক ব্যবহার করে? তাদের রিকু পাঠালে এক্সেপ্ট করবে না ঝুলিয়ে রাখবে? তাদের মাঝেও কি সেলিব্রেটি কিংবা ফটোসুন্দরি আছে? পোক মারলে ব্লক দেবে না তো?

৯) জ্বীন রাও কি গুম হয়? গুম হইলে তাগোরে কোন নদীতে ফালায়?

আবার জ্বীনের বাদশার কথামত জ্বীন নামিয়ে নিচের আলাপ গুলোও করা যেত।

১০) তিনবার ট্রাই মারার পরে একটা নোয়াখাইল্লা জ্বীন নামাইছি।
সমস্যা হলো খালি বিরক্ত করে আমারে। আর ভর দুপুরে কই
জানি চইলা যায়। আরো কয়দিন অবজার্ভ করি। তারপর বিস্তারিত জানামু।  আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আমি অবশ্য এর আগে অন্য একটা নিয়মে ট্রাই করছিলাম। জ্বীন না, সুপার ম্যান রে  নামানোর চেষ্টায়  ছিলাম। চাইছিলাম সুপার ম্যান,পাইছি নোয়াখাইল্লা।
তবে সে ইংরেজী ভাষা শিখলো ক্যাম্নে সে এক রহস্য। যা হইছে, ভালো হইছে।সবি তার ইচ্ছা।

১১) একটা মাইয়া জ্বীন নামাইছিলাম। চেহারা দেইখা এত্ত জোরে চিক্কুর দিছি যে জ্বীন টা ভয় পাইয়া উল্টা চিল্লানি দিছে। চিল্লানি দিয়াই দৌড়। যাওয়ার আগে আমার ফ্রীজ টারে বাথরুম মনে কইরা :-/

১২) ভাইজান কাজ হইছে। আমি কয়েকটা পরী ডাউনলোড করলাম। একদম এইচ ডি কোয়ালিটি।

১৩) এইডা একটা কামনি করলেন.....
আমি একটারে নামাইতে চাইছি,এখন দেখি একের পর এক নামতেই আছে.....জিগাইলে কয় এ আমার ডান হাত আর ও আমার বাম হাত....একজন আরেকজনের টাই ধইরা নাইমা পড়ছে.....ওরাও যে ডেসটিনি করে এইটা আগে কইবেন না মিয়া.... X((
দুনিয়ার কুড়িকুষ্টি নাইম্যা এখন হুদাই ভেজাল...

১৪) সানি লিওন লিখা সার্চ দিয়া একপিস সানি লিওন জ্বীন নামাইছিলাম। পরে শুনি সানি লিওন বোরকা পরা শুরু করছে।

১৫) একটা দামড়া দুমড়া টাইপের জ্বীন নামাইলাম। এইডারে দিয়া রেসলিং খেলামু।

লাস্টে খালি কইতাম,
"পরী নামাইয়া বিবাহ করণের
যদি কোন তরিকা দিতেন জনাব, তাইলে আপনার জন্যও একটা নামাইয়া দিতাম। গোস্তাকি মাফ।"

 
Tricks and Tips