অগ্নি (মুভি রিভিউ)

যেহেতু ভ্যালেন্টাইনস ডে, তাই শঙ্কা ছিল সিনেমা হলে অধিকাংশই জোড়ায় জোড়ায় থাকবে । তাই বন্ধুকে বোরকা পরিয়ে হলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। বন্ধুকে এই..

এরশাদোলজি (রম্য)

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, নারীদরদীয়া প্রেমিক পুরুষ আলহাজ হোমিওপ্যাথিক এরশাদ ওরফে পল্টিবাদি লাফাইন্যায়ে ডিগবাজীকে নিয়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। আজকের আলোচনা অজ্ঞানে বিজ্ঞানে সজ্ঞানী এরশাদ।

ফেসবুকে প্র্তারনার হাত থেকে সতর্কতা

আপনার অনেক পরিচিত কারো ফেইক আইডি খুলে আপনাকে হয়ত ফাদে ফেলানো হবে, আপনার গার্লফ্রেন্ড, আপনার বন্ধু সেজে আপনাকে ফাদে ফেলানো হবে। আর লুল বালক হলে তো কথায়ই নেই, মিষ্টি কথাতেই আপনার ঘুম হারাম করে দেবে।

ইশি (ছোটগল্প)

বিল্ডিং গুলোর ছুটে চলা খুব উপভোগ করছে ইশি। কিন্তু একটু পরেই বিল্ডিং গুলো দৌড় থামিয়ে দিল। এই জ্যাম একদম ভাললাগেনা ইশির। সবকিছু কে থামিয়ে দেয়। তবে পথের নোংড়া ছেলেমেয়ে গুলো জ্যাম কে খুব ভালবাসে।

আজব প্রশ্নের গজব উত্তর

প্রশ্নঃ দেশে জনসংখ্যা কমানোর জন্য কি কি করা যায়? উত্তরঃ বিবাহ করা থেকে নারী পুরুষ কে বিরত থাকার জন্য উদবুদ্ধ করতে হবে। স্বামী স্ত্রীর বিছানা আলাদা করা যায়। বিছানা এক হলেই মহামারী দেখা দেবে এমন আতঙ্ক ছড়ানো যায়

বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

অনন্ত জলিল যখন ঔপন্যাসিক (রম্য)

অনন্ত জলিল এবার বই লিখেছেন। উপন্যাস টির নাম নি:স্বার্থ ভালোবাসা। এটা নিয়ে বিভিন্ন মানুষ কি রকম মন্তব্য করতে পারেন দেখা যাক

১|রম্য লেখকরা এবার অবসর
নিতে পারেন !

২| অনন্ত জলিল
তো দেখি বহুমুখি প্রতিভার
অধিকারী!!!!!

৩| হু ! এবার মনে হয় ঔপন্যাসিকদের দিন
শেষ হয়ে এল ।

৪| মুল
কথা হচ্ছে উচ্চারনটা কে লিখেছেন
?
যদি জলিলের উচ্চারনেই উপন্যাস
লিখা হয় তা হলে সেটি আর
পড়তে হবে না, এটির নাম
হবে "রসআলো"।

৫|কবে না উনি আবার রকেট বানান !!!

৬|জলিল তো অনেক কারিশমা জানে।
ঔপন্যাসিকদের ভাত উঠিয়ে দিচ্ছে ।

৭| মিঃ অনন্ত জলিল,
আপনাকে চিনতে আমাদের অনেক
দেরি হয়ে গেছে। আপনি যে এত
গুণের সাগর
আমরা তা আগে বুঝতে পারিনি।
আপনার এই গুণের
অথৈ সাগরে আমাদেরকে ভাসিয়ে
দেওয়ার  জন্যে, আপনাকে আমার
এবং আমাদের পক্ষ
থেকে একটি গাঁধা ফুলের অন্তিম
শুভেচ্ছা।

৮|ছেলেটা এখনো উপযুক্ত
কোনো অভিভাবক পায়নি ।

৯| নতুন রবীন্দ্র জলিল

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

হৃদয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম


অতীতেও আমরা খারাপ সিরিজ খেলার পর ভালো সিরিজ খেলেছিএকটা এলোমেলো ঝঞ্ঝাটপূর্ণ সিরিজ গেলোসামনে কিছু গোছালো জয় আশা করতে পারি যে যাই বলুক, যত মন খারাপই করুকযতই বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম
কে গালি দিক না কেন, মনের গভীরে বাংলাদেশ টিমের জন্য যে ভালোবাসা টা তৈরি হয়েছে তা এত সহজে মোছার নয় কোনোদিন মুছবে নাআপনার সাথে চ্যালেঞ্জ থাকলো পারলে বিডি টিম কে ঘৃনা করুনজানি পারবেন না কোনোদিন পারবেন নাপ্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এই ভালোবাসাটা বাড়তে থাকবেএই ভালোবাসা টা অন্য সবকিছুর চেয়ে বেশিভালোবাসা যদি ফেরত নেয়া যেত তবুও বিডি টিম থেকে কেউ তা ফেরত নিতে পারতো না আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীর অন্য কোনো ক্রিকেট টিম কে তাদের টিম কে যতটা ভালোবাসে আমরা তার চেয়ে শতগুন বেশি ভালোবাসি আমাদের ভালোবাসাই আমাদের টিম কে এতদূর এনেছেএই ভালোবাসা পেয়েই ছেলেরা এশিয়া কাপ জিতবে
আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম কে কেন ভালোবাসি এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে চাইবো নাআমি কোনোদিন বুঝতে চাইবো না একটা পরাজয়ের পর কেন জয়ের আশা করিআপনি কখনোই বুঝতে চাইবেন না একটা জয়ের পর কেন
আপনাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হয়আমাদের প্রথম পরিচয়
আমরা #বাংলাদেশিআমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাংলাদেশি এবং আমাদের
ক্রিকেট টিম কে ভালোবাসিসব পরিচয় মুছে গেলেও আমাদের প্রথম পরিচয়
টা মুছবে না যে শিশু জন্ম নেবে আগামীতে, তার হৃদয়ে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম থাকবে গেঁথে

সমকাল না সমকামী ? >_<

রুম্মান রশীদ খান কে চিনি ২০১২ সাল থেকে। তখন তিনি পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন। সেই সময় ঢালিউড সংশ্লিষ্ট গ্রুপে বেশি ঘোরাঘুরি করতাম। তো একদিন পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী গ্রুপে গানের শুটিং এর চিত্রায়ন নিয়ে কথা হচ্ছিল। আমি ফান করেই বলেছিলাম, “যেহেতু মালয়েশিয়ায়
শুটিং হচ্ছে তো আপনারা সেখানকার কোনো স্টেডিয়ামে গানের দৃশ্য ধারনের চেষ্টা করে দেখতে পারেন। যদি মালয়েশিয়ায় সম্ভব না হয় তবে বাংলাদেশের স্টেডিয়াম গুলোও ব্যবহার করতে পারেন। দর্শক ভিন্ন কিছু পাবে” কিন্তু সেদিন
শাকিব খানের কিছু কানা চ্যালা এবং রুম্মান রশীদ খান আমার এই মন্তব্যে কেন যেন ক্ষিপ্ত হয়ে যান। সেদিন কিছুটা কথা কাটাকাটি হয়। আমার স্বভাব অনুযায়ী ফানি কমেন্ট করে তাদের সাথে তর্ক করছিলাম যেহেতু আমি শাকিব হেটার ছিলাম। আব্দুল্লাহ জুবায়ের ভাইও আমার সাথেই ছিলেন। এক পর্যায়ে আমাকে গ্রুপ থেকে ব্যান করা হয়। সেই থেকে রুম্মান রশীদ খান কে আমার ভালো লাগেনা। তো আসল কথা হলো গতকাল সমকাল পত্রিকায় দেখলাম “গুন্ডের জয়জয়কার” না কি যেন একটা লেখা। সেটা লিখেছেন রুম্মান রশীদ খান। যখন
দেশের অনলাইন জগত গুন্ডের বিরুদ্ধে ক্ষীপ্ত ঠিক তখনই তিনি গুন্ডের জয়জয়কার শিরোনামে গুন্ডের সুনাম করলেন। তিনি অন্ধ হয়ে এটা করলেন নাকি সমকালের সমকামীতার ছোয়ায় তার চোখে মুক্তিযুদ্ধ কে হেয় করার অংশটুকু চোখে ধরেনি বুঝলাম না। যেখানে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস কে বিকৃত
করা হয়েছে সেখানে উনি কি করে গুন্ডের সুনাম করেন!!!? দুদিন আগেই ফারনাজ আলম এই সমকালেই একুশে ফেব্রুয়ারি কে তামাশা করে সাজসজ্জার
টিপস দিলেন। ফারনাজ আলম এর আগেও উল্টাপাল্টা টিপস দিয়েছেন। হনুমানের মুখাবয়বের মত সাজলে কিভাবে শোক প্রকাশ করা হয় তা স্বয়ং হনুমানও বুঝতে চাইবে না। আচ্ছা সমস্যা টা কি সমকালের না সমকালই সমস্যা যুক্তদের নিয়ে কাজ করে বুঝলাম না। এই একটা পত্রিকাই উল্টাপাল্টা কাজকারবার করে মাথা গরম করে দেয়। এইটার নাম সমকামী কেন নয় তা সত্যিই চরম রহস্য ।

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অমর হোক

পিসিতে বিজয় দিয়ে বাংলা লিখতাম। যখন ফেসবুকে এলাম তখন বাংলায় লেখার
কথা মাথাতেও ছিল না। তবুও মাঝে মাঝে বিজয় দিয়ে বাংলায় স্ট্যাটাস দেয়ার চেষ্টা করতাম। বাংলায় স্ট্যাটাস দেয়া যেত না বলে বিজয়, মজিলা আর ফেসবুকের মুন্ডুপাত করতাম। তখনও অভ্রের নাম শুনিনি। পরে একটা বাংলা লেখা যায় এমন ফোন পেয়ে গেলাম। কিন্তু সেটাতে ৫১২অক্ষরের বেশি লেখা যেত
না। পরে অবশ্য অভ্রের খোজ পেয়ে মন মত পিসি দিয়ে বাংলা লেখা শুরু করি।
ফেসবুকে প্রথম থেকেই বেশকিছু ফ্রেন্ড পাই যাদের সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক
ছিল। কিন্তু তাদের সাথে সম্পর্ক টেকেনি শুধুমাত্র আমার বাংলা প্রীতির কারনে। তারা আমার বাংলা প্রীতিতে যারপরনাই বিরক্ত ছিল। অনেক সময় তিরষ্কারও করতো। বন্ধুত্বের খাতিরে প্রথমে সব মেনে নিলেও পরে আর পারিনি। তাদেরকেও
মাঝে মাঝে বাংলা নিয়ে জ্ঞান দিতাম তাদের অন্য ভাষার প্রতি বেশি দরদের কারনে। তারা আমার ব্লকলিস্টে আছে। হ্যা বাংলার প্রতি ভালোবাসার কারনে আমি যেকোনো কিছু করতে রাজি। অতিমাত্রায় বাংলা প্রীতির কারনে ইংরেজী পরীক্ষাতেও বাংলা লেখার অভিজ্ঞতা আছে। জানিনা এর মাঝে কি আছে। শুধু এটুকু জানি এটা পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা ভাষা। আচ্ছা সেরা ভাষার বীরদের শুধু
শ্রদ্ধা জানালেই হবে? আমরাই নেই না ভাষা টাকে ভালোবেসে নিজের মাঝে গেঁথে। বাংলায় কথা তো বলি সবাই। আজ থেকে নাহয় আরেকটু বেশি ভালোবাসি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অমর হোক। বাংলার মাহাত্ম্য ছড়িয়ে যাক পৃথিবীর প্রতিটি কোনায়।

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

গুন্ডে সিনেমায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অবমাননা এবং আমাদের করনীয়

গুন্ডে সিনেমায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। শুধু বিকৃতই নয় আমাদের কে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকে চরম ভাবে অপমান করা হয়েছে। এর নিন্দা জানিয়ে অনেকেই তাদের অফিসিয়াল ইমেইল এড্রেসে প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করছেন। অনেকেই হয়তো দ্বিধাগ্রস্থ আছেন যশরাজ ফিল্মস কে কি লিখে ইমেইল করবেন। তাদের জন্য ইমেইল এর একটা নমুনা দিলাম। যারা বুঝতে পারছেন না কি লিখে ইমেইল করবেন তারা নিচের লেখাটা কপি করে ইমেইল করতে পারেন।
Dear Yashraj Films Authority,
Greetings!
I would like to introduce myself as one of the
Bangladeshi movie lovers. You probably are
getting great response for your new film
Gunday in India. But this film has started
disaster in Bangladesh. Do you understand
that this project of yours has humiliated the
Bangladeshis? Hopefully the mistakes were
done unintentionally. Let's have a look at the
mistakes done in your film.
1.At the very beginning of your film,you are
telling the viewers that it was an India-
Pakistan war happened in 1971. I think your
script writer was plastered while writing the
script. If your information happens to be
correct,what were our freedom fighters doing
then? You joined the war on 3rd of December
1971. And the war started on 25th of March
the same year. Your velitation didn't give
birth to Bangladesh,rather the bloodshed of
our 3 million martyrs did. You can not but
correct the mistake and apologize to us.
2.The story of the film humiliates us on
several scenes. You showed that people of
Bangladesh were involved in various criminal
activities during the liberation war. Two lads
of our country become thief and vicious
criminal going to your land in your film. It's
tremendously humiliating for us.
3.According to your story,Bangladeshis
consider themselves Indian. How humorous!
They can do anything to get Indian
citizenship. Extremely humorous!
We consider the mistakes in your film to be
unintended. Therefore apologize to us and
correct the mistakes. Or else we will have to
take different action.
Thank you.
ইমেইল এড্রেস: helpdesk@yashrajfilms.com (এইটা মুম্বাই এর ইমেইল এড্রেস)
অন্যান্য ইমেইল এড্রেস গুলোও দিয়ে দিলাম যদি কেউ সবগুলোতেই ইমেইল করে।
avtar@yashrajfilms.com
ukoffice@yashrajfilms.com
usoffice@yashrajfilms.com
uaeoffice@yashrajfilms.com
ইমেইল করার পর কেউ চাইলে যশরাজ ফিল্মসের অফিসিয়াল পেজের ইনবক্সেও মেসেজ দিতে পারেন। http://www.facebook.com/yrf
এসব ক্ষেত্রে টুইটারে প্রতিবাদ জানানো টাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। টুইটারে হ্যাশট্যাগ এবং যশরাজ ফিল্মস কে সরাসরি মেনশন করে প্রতিবাদ জানানো যেতে পারে। যারা টুইটার ব্যবহার করেন তারা নিচের অংশটুকু কপি করে টুইট করতে পারেন। অন্যভাবেও টুইট করতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে @yrf এইটা দিয়ে যেন আপনার টুইটে যশরাজ ফিল্মস কে মেনশন করা হয় এবং হ্যাশট্যাগ হিসেবে #GundayHumiliatedHistoryOfBangladesh এটা ব্যবহার করবেন। নিচে একটা নমুনা টুইট দিয়ে দিলাম। 
Yashraj @yrf Authority should apologize
to Bangladesh and correct the mistakes
on their film GUNDAY
#GundayHumiliatedHistoryOfBangladesh
ভাই এইটা নিয়ে রাজনৈতিক ক্যাচাল বন্ধ করে সবাই একটু কাজ করেন। দেশটা কোনো রাজনৈতিক দলের না। দেশটা আমাদের্। এর ভিতর রাজনৈতিক দল এনে ক্যাচাল করে কোনো লাভ নেই। অনেকেই বলতে পারেন এইসব ইমেইল, টুইট করে কি লাভ হবে? ভাই নিজের অবস্থান থেকে চেষ্টা করতে তো দোষ নেই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কোনো পতিতালয়ের বাসিন্দা না যে যার যখন ইচ্ছা ধর্ষন করবে।
আমার দেশের কোনো অপমান কখনোই সহ্য করবো না।

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

অগ্নি (মুভি রিভিউ)

যেহেতু ভ্যালেন্টাইনস ডে, তাই শঙ্কা ছিল সিনেমা  হলে অধিকাংশই জোড়ায় জোড়ায় থাকবে । তাই বন্ধুকে বোরকা পরিয়ে হলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম।  বন্ধুকে এই অফার টা দিতেই দিলো একটা থাবড়া। তাই তাকে বোরকা পরানোর প্ল্যান থেকে পিছু হটলাম। কিন্তু হলে ঢুকেই চোখ ছানাবড়া। সবাই দেখি জোড়ায় জোড়ায়! :-/ এতগুলো জোড়ার ভিতর আমরা দুই নাদান অসহায় :-/ এই অসহায়ত্ব নিয়েই দেখা শুরু করলাম  ইফতেখার চৌধুরীর সিনেমা  অগ্নি। পাশে বসে থাকা জোড়ার ছেলেটা বলে উঠলো, "উফ মাহি! আমার জান"। সে হয়তো ভুলে গিয়েছিল গার্লফ্রেন্ডের সাথে এসেছে। গার্লফ্রেন্ডের হাতে বাড়ি খাওয়ার পর চুপ হয়ে গেল। যাক গার্লফ্রেন্ড ছাড়া আসার একটা সুবিধা উপলব্ধি করলাম। অগ্নি সিনেমা টা মুক্তির আগে থেকেই আলোচনায় ছিল। সেই সুবাদে হয়ত  হল ছিল হাউজফুল।

কাহিনী সংক্ষেপ:

তানিশা (মাহিয়া মাহী) তার বাবা মা হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য কামালের আস্তানায় ঢুকে তাকে হত্যা করে। কিন্তু বাকি হত্যাকারীদের খুজে পেতে তাকি পাড়ি জমাতে হয় থাইল্যান্ডে। থাইল্যান্ডে গিয়েই তানিশা ছদ্মবেশ ধারন করে। এদিকে কামালের মৃত্যূর খবর  গুলজার (আলীরাজ) এর কানে যায়। গুলজারই তানিশার বাবার মূল হত্যাকারী। গুলজার তানিশা কে মারার জন্য ড্রাগন(আরেফিন শুভ) কে পাঠায়। কিন্তু ড্রাগনের চোখ কে ফাকি দিয়েই তানিশা ডন কে ছুরিকাঘাত করে। তানিশা ড্রাগনের মামা কাবিলার বাসা ভাড়া নেয়। ড্রাগন তানিশার প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু ড্রাগন জানতো না তানিশা ছদ্মবেশি কিলার এবং তাদেরই কিলার যাদের ড্রাগন নিরাপত্তা দেয়।  ড্রাগনের সেফ হাউজ থেকেই তানিশা ডন কে মেরে ফেলে। ডন কে মারার পর তানিশার পরবর্তী টার্গেট হয় শিবা সানু। শিবা সানু কে মারার পরপরই ড্রাগন টের পেয়ে যায় তানিশা ছদ্মবেশি কিলার্। এদিকে হায়দার(মিশা সওদাগর) ও গুলজার জেনে যায় তানিশাই ছদ্মবেশি কিলার এবং সে ড্রাগনের প্রেমিকা। হায়দার লোক পাঠায় ড্রাগন কে মারার জন্য। কিন্তু তারা ড্রাগন কে না মারতে পেরে তার মামা মামিকে মেরে ফেলে। শেষদিকে তানিশা এবং ড্রাগন এক হয়ে গুলজার ও হায়দার কে হত্যা করে।

যা ভালো লেগেছে:

সিনেমার সবচেয়ে ভালো দিক এর এ্যাকশন দৃশ্যগুলো। কামাল কে মারার দৃশ্যটুকু, আরেফিন শুভর সাথে মাহীর স্পীডবোট চেজিং, গুলজার ও হায়দার কে মারার এ্যাকশন দৃশ্য ইত্যাদি প্রতিটি এ্যাকশন দৃশ্যই দর্শকের ভালো লাগবে। সিনেমার কাহিনীতেও গতি ছিল বলা যায়। সিনেমার চিত্রায়ন, উপস্থাপন, এ্যাকশন এবং কাহিনী মিলিয়ে ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যাবে এটা নিশ্চিত। শুভর সাথে মাহীর রোমান্টিক কমেডি গুলো যথেষ্ট উপভোগ্য ছিল। শুভ যতবারই পিস্তল বের করছিল ততবারই মাহির সামনে চলে আসা এবং চিতকার দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে। ফুলের বদলে পিস্তল নিয়ে মাহির পেছনে ছোটা, লিফটে মামা তেলাপোকা কম দিল কিনা সংবলিত দৃশ্যগুলো ভালো ছিল। শিশুশিল্পী পূজার অভিনয় বেশ সাবলীল ছিল। পূজা তানিশার ছোটবেলার সাহসী  চরিত্রটি বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। শুভ এবং মাহীর অভিনয় ভালো ছিল। প্রতিটা গানই শ্রুতিমধুর ছিল। ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড, ঝকঝকে কালার, লোকেশন  সবকিছু মিলিয়ে এটাকে ভালো সিনেমা বলাই যায়।

যা ভালো লাগেনি:

সিনেমাটিতে ভালো না লাগার মত অংশ খুব কম ছিল। সাধারন দর্শকের দৃষ্টিতে ত্রুটি ধরা নাও পড়তে পারে। বোঝা যাচ্ছিল সবাইকে মারার পরই সিনেমা শেষ হয়ে যাবে। এর ভেতরে আরেকটু বৈচিত্র আনলে ভালো হত। প্রথমদিকে কামালের অতিমাত্রায় খসখসে গলা ভালো লাগার মত ছিল না। যেহেতু এ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা, তাই শেষ দিকের মারামারি আরেকটু চমকপ্রদ করা উচিত ছিল। কিছু জায়গায় আরেফিন শুভকে কাঁদো কাঁদো ভাবে উপস্থাপন করাটা বেমানান লেগেছে।

পরিচালক- ইফতেখার চৌধুরী
প্রযোজক- শিষ মনোয়ার
রচয়িতা- এ যে বাবু
অভিনয়- মাহিয়া মাহী,
আরেফিন শুভ, আলিরাজ, মিশা সওদাগর, কাবিলা, ডন, শিবা সানু, ড্যানি সিডাক, ইফতেখার চৌধুরী।
সম্পাদক- তৌহিদ হোসেইন
চৌধুরী
স্টুডিও- জাজ মাল্টিমিডিয়া
বণ্টনকারী- জাজ মাল্টিমিডিয়া
মুক্তি- ফেব্রুয়ারি ১৪ , ২০১৪

অগ্নি বাংলা সিনেমার জন্য আশাজাগানিয়া একটি সিনেমা। বাংলা সিনেমার সুদিনের বার্তা বহন করে। এই ধরনের কিংবা এর চাইতে ভালো সিনেমা তৈরি হলেই সিনেমা শিল্প চাঙ্গা হয়ে উঠবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না ।

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

আপনে মানুষ না আম্পায়ার?

রেজা ভাই কেমন আছেন?

ধুর ভাই জেতা খেলা হাইরা গেলাম আর আপনে কন "কেমন আছেন?" আপনে মানুষ না আম্পায়ার?

রেজা ভাই লন ডানো খান

ডানোর গুড়া তামিম রে মাখান।
ধুর মিয়া জেতা খেলা হাইরা গেলাম আর আপনে আইছেন ডানো নিয়া? আপনে মানুষ না আম্পায়ার?

রেজা ভাই লন বুস্ট খান এনার্জী বাড়ান

ঐডা সাকিবে মুখে ঢাইলা দেন। যাতে বোল্ড হইয়া আমগো না কান্দায়।  জেতা খেলা হাইরা গেলাম আর আপনে আইছেন বুস্ট নিয়া? আপনে মানুষ না আম্পায়ার?

রেজা ভাই বুঝছি অনেক রাইগা আছেন। লন গ্ল্যাক্সোজ খান

ঐডা নাসির রে খাওয়ান যাতে অসময়ে আউট না হয়। জেতা খেলা হাইরা গেলাম আর আইছে গ্ল্যাক্সোজ মারাইতে। আপনে মানুষ না আম্পায়ার?

রেজা ভাই লন পানি খান।

ঐডা আমার মাথায় ঢালেন। জেতা খেলা হা………
টি টুয়েন্টি তো আরেকটা বাকী আছে? ওয়ানডেও তো বাকী আছে? পানি দিয়া ধুইয়া দিমু বাকী গুলারে। পানি রেডি রাইখেন।

#BanvSL

রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

এস এস সি'র প্রশ্ন যখন ফেসবুকে পাওয়া যায় (রম্য)

নিউজফীডে স্ট্যাটাস আকারে এস এস সি পরীক্ষার প্রশ্ন দেখলাম। অনেকেই আবার স্ট্যাটাস দিচ্ছেন "কারো কাছে এস এস সি পরীক্ষার  প্রশ্ন থাকলে ইনবক্স করেন"। এ সম্পর্কিত পেজও তৈরী হয়ে গেছে  দেখলাম। বিষয়টা এমন দাড়িয়েছে-
*এস এস সি পরীক্ষার প্রশ্ন এখন ফেসবুকে।
*পরীক্ষায় ভালো করতে চাও? এখনই টেক্সটবুক ছেড়ে ফেসবুকে চোখ বোলাও।
*অবশেষে প্রমানিত হলো ফেসবুকই পরীক্ষায় কমন পাওয়ার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বুক।
*আমার কাছে এস এস সি পরীক্ষার প্রশ্ন আছে। প্রশ্ন পেতে চাইলে এড মি প্লিজ। (এড মি পাগলাদের এড মি শিল্পে নতুন সংযোজন)
*সুখবর সুখবর সুখবর!
সাধারণ গণিতের এক্সক্লুসিভ প্র্ন।
১ নং প্রশ্ন ……Continue reading (পেজ প্রোমোটার রা এই পন্থা অবলম্বন করতে পারেন)
*বাংলা প্রথম পত্রের জন্য যেই প্রশ্ন দিয়েছিলাম তা শতভাগ কমন এসেছে। পরবর্তি প্রশ্ন পেতে লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন (লাইক খোর এডমিন)
*এক হিন্দু চ্যালেঞ্জ করেছে আমি নাকি ইসলাম শিক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে ১০০০০ লাইক পাবোনা। আপনারা লাইক দিয়ে নিজে উপকৃত হোন পাশাপাশি হিন্দুটাকে হারিয়ে দিন (ধর্ম ব্যবসায়ী এডমিন)
*নিচে ৫জন এক্টিভ প্রশ্ন ফাঁস কারীর আইডি দেয়া হলো। দয়া করে সবাই তাদের এড করে নিন । (আইডি প্রোমোট স্টাইল)
*স্ট্যাটাস: এফ দিয়ে একটি বাক্য লিখুন তো?
সিলেটি ব্যক্তির কমেন্ট: ফেসবুকে ফ্রতিটা ফরীক্ষার ফ্রশ্ন ফাঁস হয়।
*টাক্লা: karo kaca hagar bacar dare uponnus ar kono prosni aca? amaka akgon pad da nodir magir pacha pacha prosno deaca. Ai rokom bondami ame muteo lick korina. gay amaka ai pacha pacha prosno diaca tar dick a agun borshon huk. Tar pussy cae.
*আপনি কি পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত? দুষ্টামি ফাইজলামি ফাতরামি করে টাইম নষ্ট করেছেন? এখন পরীক্ষার সময় চোখে গ্যান্দা ফুল #দেখছেন? তাহলে আপনি আমাদেরই খুজছেন। আর নয় লেকচার পাঞ্জেরী,
আর নয় দেরী।
ফেসবুকে একাউন্ট খোলো তাড়াতাড়ি। ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন পরীক্ষার এক্সক্লুসিভ প্রশ্ন। বিফলে মূলো ফেরত।
প্রশ্ন ফাঁস করে পরীক্ষার্থীদের সামনে মূলো ঝুলিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে করে দুইটা জিনিস হবে।
১/যারা আসলেই ভালো ফলাফলের যোগ্য, তাদের ভালো ফলাফল টাকে অনেকেই ভালোভাবে মূল্যায়ন করবে না। প্রশ্ন ফাঁসের উপর অনেকে ক্রেডিট দেবে।
২/যারা ভালো ফলাফলের যোগ্য নয়, কিন্তু প্রশ্ন পেয়ে কোনোমতে ভালো ফল করে ফেলে তাদের পা মাটিতে পড়বে না। এরাই যত নষ্টের মূল হবে।
পরিশেষে সকল পরীক্ষার্থীর জন্য শুভকামনা। বিশুদ্ধ ভাবে পরীক্ষা দিয়ে সবাই বিশুদ্ধ রেজাল্ট করুক।

 
Tricks and Tips