অগ্নি (মুভি রিভিউ)

যেহেতু ভ্যালেন্টাইনস ডে, তাই শঙ্কা ছিল সিনেমা হলে অধিকাংশই জোড়ায় জোড়ায় থাকবে । তাই বন্ধুকে বোরকা পরিয়ে হলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। বন্ধুকে এই..

এরশাদোলজি (রম্য)

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, নারীদরদীয়া প্রেমিক পুরুষ আলহাজ হোমিওপ্যাথিক এরশাদ ওরফে পল্টিবাদি লাফাইন্যায়ে ডিগবাজীকে নিয়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। আজকের আলোচনা অজ্ঞানে বিজ্ঞানে সজ্ঞানী এরশাদ।

ফেসবুকে প্র্তারনার হাত থেকে সতর্কতা

আপনার অনেক পরিচিত কারো ফেইক আইডি খুলে আপনাকে হয়ত ফাদে ফেলানো হবে, আপনার গার্লফ্রেন্ড, আপনার বন্ধু সেজে আপনাকে ফাদে ফেলানো হবে। আর লুল বালক হলে তো কথায়ই নেই, মিষ্টি কথাতেই আপনার ঘুম হারাম করে দেবে।

ইশি (ছোটগল্প)

বিল্ডিং গুলোর ছুটে চলা খুব উপভোগ করছে ইশি। কিন্তু একটু পরেই বিল্ডিং গুলো দৌড় থামিয়ে দিল। এই জ্যাম একদম ভাললাগেনা ইশির। সবকিছু কে থামিয়ে দেয়। তবে পথের নোংড়া ছেলেমেয়ে গুলো জ্যাম কে খুব ভালবাসে।

আজব প্রশ্নের গজব উত্তর

প্রশ্নঃ দেশে জনসংখ্যা কমানোর জন্য কি কি করা যায়? উত্তরঃ বিবাহ করা থেকে নারী পুরুষ কে বিরত থাকার জন্য উদবুদ্ধ করতে হবে। স্বামী স্ত্রীর বিছানা আলাদা করা যায়। বিছানা এক হলেই মহামারী দেখা দেবে এমন আতঙ্ক ছড়ানো যায়

শুক্রবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৫

জেলার দূরত্ব দুই তিনশো কিলোমিটার, কিন্তু মনের দূরত্ব দুই তিন মিলিমিটার।

একটা সময় যখন স্কুলে পড়তাম তখন আমাদের ক্লাসমেটরা ছিল সব আশেপাশের এলাকারই। প্রত্যেকের বাড়ি থেকেই প্রত্যেকের বাড়ি ২-৩কিলোমিটারের ভিতরই থাকতো। সকালে "আম্মু খেতে দাও, স্কুলে যাবো" বললেই প্লেটে খাবার চলে আসতো। সেটা নাকে মুখে খেয়েই স্কুলে ছুটতাম। স্কুলে অধিকাংশ পোলাপাইনই বাঁদরামি নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। আমার এখনো মনে আছে ক্লাস সেভেনে থাকতে একজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলাম এবং তারপরই হুমকি পেয়েছিলাম তার বাড়ির সামনে দিয়ে গেলে আমারও মাথা ফাটবে। কিন্তু স্যারের কোলাকুলি থেরাপীতে আমি মাথা ফাটার হাত থেকে বেচে যাই, এবং যার মাথা ফাটিয়েছিলাম তারই বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে যাই।

স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠলাম। কলেজে উঠে পাওয়া ফ্রেন্ডগুলোর বাসা আর ২-৩কিলোমিটার সীমার মাঝে থাকলো না। এখানে অধিকাংশ ফ্রেন্ডই জেলার একেক প্রান্ত থেকে এসেছিল। একই জেলার ভিতরই কালচারের বিভিন্নতা লক্ষ্য করেছিলাম কলেজ লাইফেই। বাসার কাছেই কলেজ ছিল বিধায় এখানেও মায়ের রান্না খেয়েই কলেজ করেছি।

কলেজ শেষ করে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠেছি। এখন চাইলেই "আম্মু খেতে দাও, ভার্সিটিতে যাবো" বলতে পারবো না কারন বাসা থেকে ২৬১কিলোমিটার দূরে পড়তে এসেছি। এতে আমার আফসোস নেই বরং অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারী করার নেশায় মাতাল হয়ে আছি। এখানে যেসব ফ্রেন্ড পাবো তারা ২-৩কিলোমিটার নয় দুই-তিনশত কিলোমিটার দূরের। বিভিন্ন জেলার বন্ধুদের সাথে কাধে হাত রেখে দু:খিত কাধে থাবা মেরে অভিজ্ঞতা অর্জন করবো। উঠতে বসতে কিল ঘুষিতে খুনসুটিতে অভিজ্ঞতা ট্রান্সফার করবো। এটাই বা কম কিসে? ভাষাগত বিভিন্নতা খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করা যাবে। এই যা ভাষার ব্যপার আসতেই বরিশালে প্রথম আসার একটা অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেলো।
নথুল্লাবাদ থেকে আমতলা যাবো তাই একটা ইজিবাইক থামালাম। ভাড়া জিজ্ঞাসা করলাম, আমাদের কানে এলো "ষাট ট্যাকা কইরা"। আমার ফ্রেন্ড তো বলল দেখতো, "বরিশালের বদলে ভুল করে অন্য জেলায় রেখে গেল কিনা? ৪০টাকা করে মিটা।" সুমন কে ধামকি দিয়ে বললাম, "আরে রাখ ব্যাটা, অন্য ভাবে জিজ্ঞাসা করি।" ইজিবাইক ওয়ালাকে দুজনের ভাড়া কত জিজ্ঞাসা করায় উত্তর পেলাম "দুইজন চৌদ্দ ট্যাকা" এরকম হয়ত আরো অনেক অভিজ্ঞতার সম্মুক্ষীন হতে হবে। তবে সব কথার এক কথা এই কালচারের বিভিন্নতা গ্রহনের সাথে সাথে বিভিন্ন জেলার বন্ধুদের কাধে হাত রাখার মতো নয় বরং থাবা মারার মতো আপন করে নিতে হবে। অনেকেই হয়ত ভাবছি নতুন বন্ধুদের সাথে মানিয়ে নিতে পারবো তো? আরে ব্যাটা এরকম চিন্তা থাকলে ঝেড়ে ফেল, থাবার বদলে লাত্থি খাবি কইলাম। বস আমাদের জেলার দূরত্ব দুই-তিনশত কিলোমিটার হতে পারে কিন্তু মনের দূরত্ব দুই তিন মিলিমিটারও হবে না কথা দিলাম। এখানে তুমি ভুলে যাবা তোমার জন্মদিন কবে কিন্তু আমরা তোমার মাথায় কেক কেটে খাবো। আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া উচিত এতদিন যা ছিলাম না ছিলাম ভার্সিটিতে বন্ধুত্বের সংজ্ঞাই পাল্টে দেবো।

[ও আরেকটা কথা, যার মাথা ফাটিয়েছিলাম সে আর আমি দুজনেই বরিশাল ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি :-P ]

 
Tricks and Tips