অগ্নি (মুভি রিভিউ)

যেহেতু ভ্যালেন্টাইনস ডে, তাই শঙ্কা ছিল সিনেমা হলে অধিকাংশই জোড়ায় জোড়ায় থাকবে । তাই বন্ধুকে বোরকা পরিয়ে হলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। বন্ধুকে এই..

এরশাদোলজি (রম্য)

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, নারীদরদীয়া প্রেমিক পুরুষ আলহাজ হোমিওপ্যাথিক এরশাদ ওরফে পল্টিবাদি লাফাইন্যায়ে ডিগবাজীকে নিয়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। আজকের আলোচনা অজ্ঞানে বিজ্ঞানে সজ্ঞানী এরশাদ।

ফেসবুকে প্র্তারনার হাত থেকে সতর্কতা

আপনার অনেক পরিচিত কারো ফেইক আইডি খুলে আপনাকে হয়ত ফাদে ফেলানো হবে, আপনার গার্লফ্রেন্ড, আপনার বন্ধু সেজে আপনাকে ফাদে ফেলানো হবে। আর লুল বালক হলে তো কথায়ই নেই, মিষ্টি কথাতেই আপনার ঘুম হারাম করে দেবে।

ইশি (ছোটগল্প)

বিল্ডিং গুলোর ছুটে চলা খুব উপভোগ করছে ইশি। কিন্তু একটু পরেই বিল্ডিং গুলো দৌড় থামিয়ে দিল। এই জ্যাম একদম ভাললাগেনা ইশির। সবকিছু কে থামিয়ে দেয়। তবে পথের নোংড়া ছেলেমেয়ে গুলো জ্যাম কে খুব ভালবাসে।

আজব প্রশ্নের গজব উত্তর

প্রশ্নঃ দেশে জনসংখ্যা কমানোর জন্য কি কি করা যায়? উত্তরঃ বিবাহ করা থেকে নারী পুরুষ কে বিরত থাকার জন্য উদবুদ্ধ করতে হবে। স্বামী স্ত্রীর বিছানা আলাদা করা যায়। বিছানা এক হলেই মহামারী দেখা দেবে এমন আতঙ্ক ছড়ানো যায়

বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৪

গরমে স্ট্যাটাস কাব্য (রম্য)

স্ট্যাটাস পড়ে শয়ে শয়ে
গ্রীষ্মের এই দিনে
চারিদিকে হা হুতাশ
বৃষ্টি আসবে কোন ক্ষণে।
বখাটে সূয্যি মামা ,
দেখায় তার হটনেস,
ললনা দেয় স্ট্যাটাস,
"উফ পুড়ে গেলো বুঝি ফেস" ।
বালক এসে কমেন্ট দেয়
"হায় হায় বলো কি?
ফেস যদি পুড়ে যায়
কে তুলিবে সেলফি?"
চামের উপ্রে ১৮+
বলে ফেলে বালক টা,
"গরমেতে মনচায়
খুলে ফেলি লুঙ্গী টা।"
কেউ কেউ স্ট্যাটাস দেয়
"এলো রে এলো রে বৃষ্টি, 
লাইক মারো শেয়ার করো
বিলি করো মিষ্টি।"
চুপচাপ বসে দেখি
এইসব কান্ড,
আনমনে দেই স্ট্যাটাস
"বৃষ্টি, চলে এসো ভন্দু"

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৪

আমি ভাত, একজন ভাত

সময়টা ২০০৪ সাল। তখন আমি ক্লাস টু'র স্টুডেন্ট। আমার একটা বিটলা টাইপের ফ্রেন্ড ছিল নাম লাবিব। তো একদিন ক্লাসে ওর সাথে কলম খেলছিলাম।
খেলার এক পর্যায়ে ও বলে, "দোস্ত আইজ একটা নতুন গেম খেলুম। খেলবি?"
তো নতুন গেমের কথা শুনে তো আমি এক পায়ে খাড়া। বললাম, "হু খেলুম"
তারপর ও আমাকে খাতায় কিছু কথা লিখতে বলল। কথাগুলো ছিল এরকম
আমি ভাত
একজন ভাত
কে ভাত
ভালো ভাত
বাসি ভাত
তার ভাত
নাম ভাত
এটুকু লেখার পর ও বলল, "এইবার আমাগো ক্লাসের কোনো মাইয়ার নাম দিয়া ভাত লেখ"
আমিও তখন সরল মনে আমাদের ক্লাসের সেকেন্ড গার্লের নাম দিয়ে লিখলাম
*** ভাত
কিন্তু তখনই হারামজাদা টা সব ভাত কেটে দিয়ে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত আমাকে পড়তে বলল >_<
পড়ার পরই তো মাথায় আগুন :-/ ও খাতাটা কেড়ে নিয়ে পুরো ক্লাস দেখাতে লাগলো, আমি ওকে ব্যর্থ তাড়া করছিলাম শুধু। এরপর ও বেঞ্চে এবং আমার খাতায় লুকিয়ে লুকিয়ে মেয়েটার নাম প্লাস আমার নাম লিখে রাখত। তখন তো লজ্জায় আমার সেইরকম দশা হত।
আসলেই ছোটবেলার দিন গুলো খুব মজার ছিল। সে দিন গুলি আর কখনো ফিরে আসবে না। প্রতিটা মানুষকে যদি একটি নির্দিষ্ট বয়সে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়, তবে অধিকাংশই শৈশব কালকে বেছে নেবে

সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৪

লুঙ্গীর পোস্টমর্টেম (রম্য)

লুঙ্গী খুবই উপকারী, আরামদায়ক, বিচিত্র এবং বিপজ্জনক পোশাক। লুঙ্গীতে কোনো চেইন কিংবা হুক নেই। এতে কোনো ইলাস্টিকও নেই। লুঙ্গী পরার জন্য কোনো বেইল্ট লাগে না। এক বিশেষ ধরণের গিট্টু দিয়ে লুঙ্গী পরতে হয়। যদি কোনো লুঙ্গী তে চেইন কিংবা হুক থাকে তবে সেটা আসল লুঙ্গী নয়। তাই কেনার সময় এই দিক টা তে খেয়াল রাখতে হবে।

গঠন শৈলির সরলতার দিক দিয়ে ওড়নার পরই লুঙ্গীর অবস্থান। তবে অনেক মেয়েই ওড়না যথাস্থানে রাখে না কিংবা ওড়না পরেই না। কিন্তু লুঙ্গী পরিধান কারীকে অবশ্যই লুঙ্গী যথাস্থানে রাখতে হবে। লুঙ্গী কে কাছা মেরেও পরা যায়। তখন সেটা গিট্টুওয়ালা হাফপ্যান্টের ন্যায় কাজ করে।

লুঙ্গী নিয়ে ড্যান্সও তৈরি হয়ে গেছে। একে লুঙ্গী ড্যান্স বলে। তবে লুঙ্গী ড্যান্স দেয়ার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। অসতর্ক হলে  ড্যান্স চলবে ঠিকই কিন্তু লুঙ্গী থাকবে না।

লুঙ্গী একটি সিলিন্ডার কিংবা পাইপ আকৃতির পোশাক। মেয়েদের স্কার্টের সাথে সাদৃশ্য থাকায় একে ছেলেদের স্কার্টও বলা যায়। লুঙ্গী ও স্কার্টের পার্থক্য হল, লুঙ্গী আগা গোড়াই সমান ব্যসার্ধের হয় কিন্তু স্কার্টের আগাগোড়া সমান ব্যসার্ধের না।

যারা লুঙ্গী পরায় অভ্যস্ত না তারা লুঙ্গী পরলে অবশ্যই ব্যাকআপ রাখতে হবে (সাবধানের মাইর নাই)।
লুঙ্গী তে বাড়তি কিছু ফিচার যুক্ত করতে পারলে এটি হয়ে উঠবে আরো আকর্ষনীয় ও নিরাপদ পোশাক। এই যেমন স্মার্টফোন কিংবা  মানিব্যাগ রাখার জন্য পকেট। তাহলে আপনি গার্লফ্রেন্ডের সাথে ডেটিং এও লুঙ্গী পরে যেতে পারবেন। লুঙ্গী তে বেইল্ট লাগাতে পারলে তা আরো নিরাপদ হবে। তাই লুঙ্গী তে বেইল্ট লাগানোর জন্য লুপ রাখা যেতে পারে।

প্রযুক্তির  উৎকর্ষতায় অনেক অসাধ্যই সাধন হয়েছে। তাই আমরা আশা করতেই পারি  অদূর ভবিষ্যতে লুঙ্গীতে পাসওয়ার্ডের ব্যবহার হবে। তখন পাসওয়ার্ড ছাড়া লুঙ্গী খুলবেই না (পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কিংবা হ্যাক হয়ে গেলে আমারে ধইরেন না :-P )। আমরা চাই অতিসত্ত্বর এন্ড্রয়েড চালিত লুঙ্গী আসুক।

জয় হোক লুঙ্গীর,
গরমে আরামের সঙ্গী,
খিয়ানত শাহ লুঙ্গী।

বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৪

গরমে তরমুজ ও বেলের ব্যবহার (রম্য)

গরমে যখন লাইফ টা হেল,
তখনই ব্যবহার করুন তরমুজ আর বেল।

আসুন জেনে নেই গরমে তরমুজ আর বেলের বাহারী ব্যবহার।

১। প্রথমেই আপনার মাথা টাকে বেলের ন্যায় টাকবেল বানিয়ে ফেলুন। গরম থেকে কিছুটা রেহাই পাবেন।

২। এবার একটি বেল নিয়ে মাথা আস্তে আস্তে ঠোকাঠুকি করুন। সময়ের সাথে ঠোকাঠুকির জোর বাড়ান। যদি বেল টা ফেটে যায় তাহলে বুঝবেন আপনার মাথা যথেষ্ট গরম সহ্যের ক্ষমতা রাখে। আর মাথা ফেটে গেলে মাথা খুলে ওই জায়গায় বেল লাগান।

৩। বেলের শরবত গরমে খুবই উপকারী। বেলের শরবত বানাতে হলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। প্রথমে বেল ফাটাতে হবে। যদি সফল হোন তবে বেলের হলুদাভ অংশ সংগ্রহ করে চিনির সাথে পানিতে চুবান।

৪। গরমে আরেকটি উপকারী ফল তরমুজ। তরমুজের রস শরীরে লাগালে আপনি প্রশান্তি অনুভব করবেন।

৫। কিছুকিছু তরমুজের ভেতরের অংশ লাল হয়। শুধুমাত্র সেসব তরমুজই খাবেন। ভুলেও সাদা তরমুজ খাবেন না।

৬। তরমুজ খাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি সতর্কতা অবলম্বন করুন। মাটির তৈরী শোপিস জাতীয় তরমুজ খাবেন না। এতে আপনার দাঁতের ক্ষতি হবে।

৭। তরমুজের উপরের আবরন টি আপনার টাক মাথায় ক্যাপ হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে আপনার চার টি উপকার হবে,

ক) তরমুজের আবরনের ভেতরের অংশ আপনার বেল মাথা কে শীতল রাখবে।

খ) বেল  মাথার দিকে কাকের বিশেষ আকর্ষণ থাকে। এটি কাকের মল থেকে আপনার মাথাকে রক্ষা করে।

গ) বন্ধুরা বেল মাথা পেয়ে তবলা বাজাতে পারে। বন্ধুদের বাদক প্রতিভা থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।

ঘ) তরমুজের খোসা পরিহিত অবস্থায় থাকলে আপনি সকলের আকর্ষনে পরিনত হবেন।

৮। এবার একটা সেলফি তুলে ফেসবুকে ফুটু আপলোডান।

গরমে একটি জনসেবামূলক পোস্ট

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৪

আপনি কি আরিফিন রুমী কে চেনেন? (রম্য)

একদা আরিফিন রুমী সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে গেলেন। কিন্তু ভাগ্যক্রমে সে যাত্রায় বেচে ফিরে এসেছিলেন।

কিছুদিন পর এক যুবক সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে গেলেন। সাগরের তলে গিয়ে দেখলেন এক মৎস্যকন্যা একটি বাচ্চা কোলে করে বসে আছে। মৎস্যকন্যা টি যুবক কে জিজ্ঞাসা করল, "আপনি কি আরিফিন রুমী কে চেনেন?"

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৪

সুব্রামানির এক তৃতীয়াংশ তত্ত্ব (রম্য)

সুব্রামানি নামটি কে বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় নারিকেলের ছোবড়া থেকেই নামটি উদ্ভুত। উনি যে নারিকেলের ছোবড়া এটা আমরাও মানি উনিও মানেন। তাই তিনি সুব্রামানি।
নারিকেলের ছোবড়ার কি কাজ তা আমরা সবাই জানি।
উনি ভারতীয় ভেজাল মদ খেয়েছিলেন, তাই তার চলন বলনে মাতলামি প্রকাশ পাচ্ছিল না। তিনি মাতাল ছিলেন এবং সেটা প্রমান করার জন্যই উল্টাপাল্টা বলে ফেলেছেন।
কিন্তু আমি ভয়ে আছি, না জানি কবে তিনি সানি লিওনের শরীরের এক তৃতীয়াংশ কাপড় দাবী করে বসেন!
তার সম্ভাব্য দাবীর মাঝে থাকতে পারে,
"আমার খাবারের এক তৃতীয়াংশে মানব বর্জ্য দ্বারা বানানো হোক"
অথবা
"ভারতে জন্মানো বাঁশের ক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য প্রতিটা বাঁশের এক তৃতীয়াংশ আমার উপর এপ্লাই করা হোক। গমন পথ আপনারাই বেছে নিন"
অথবা
"ভারতের এক তৃতীয়াংশ বাস কে ধর্ষনের অভয়ারন্য ঘোষনা করা হোক"
অথবা
"ভারতের ক্ষ্যাপা কুত্তা গুলো কে এক তৃতীয়াংশ নারী ভোগের সুযোগ করে দেয়া হোক"
অথবা
"ভারতের নায়িকাদের এক তৃতীয়াংশ কে পাক্কা পর্ণস্টার বানানো হোক"
অথবা
"আমার পৌরষত্বের এক তৃতীয়াংশ কেটে নেয়া হোক"
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, সুব্রামানি নাম টা ৫অক্ষরের বাংলা গালি ****নী এর মত শোনায়।
রেপ কি বাদ সানি লিওন কা চিৎকার,
আব কি বাদ মোদি সরকার,
সুব্রামানি কি হোক বলৎকার।

আজব প্রশ্নের গজব উত্তরঃ পর্ব-১০ (রম্য)

প্রশ্ন: আপনার যদি পাখা থাকতো তবে কোথায় উড়তে চাইতেন?

উত্তর: ভুলেও ওড়ার চেষ্টা করবো না। আমি তো ইকারুস আর দাইদালুসের মত গাধা না যে পাখা থাকলেই
উড়ার ট্রাই করবো :-P শেষে অকালে প্রান টা না যায় :-P

প্রশ্ন: আর ইউ পম গানা?

উত্তর: নু নেবার্। আই এম পম ম্যান সিস্টার্। ইউ গু ম্যানসিস্টার?

প্রশ্ন: মেয়ে দেখলে হুশ থাকে না

উত্তর: হায় হায় এটা আপনি কি বলেন!? :-o আপনার তো জটিল সমস্যা। মেয়ে দেখলে যদি হুশ না থাকে আই
মিন বেহুশ হয়ে যান তাহলে আপনার আব্বু আম্মু কিভাবে দাদা দাদি হবে? দ্রুত ডাক্তার দেখান ভাই

প্রশ্ন: আপনি কি পাগল?

উত্তর: রিসেন্টলি পাবনা থেকে কিছু রোগী পালিয়ে এসেছে। তারা পথে যাকেই পায় তাকেই
জিজ্ঞেস করে "আপনি কি পাগল?" কিন্তু এভাবে পথে ঘাটে জিজ্ঞেস করায় তারা মার খাচ্ছিল।
তাই আস্কে এসে এনোনিমাসলি জিজ্ঞেস করছে। ফিরে যাও বাবু তোমার আস্তানায়।

প্রশ্ন:  জিবনে কতগুলো ক্রাস খেয়েছেন? ?

উত্তর: m সংখ্যক ক্রাশ খেয়েছি। [m<0 অথবা m=0]

প্রশ্ন: জেলহাজতে কয়দিন ছিলেন?

উত্তর: আপনাকে যতদিন জেলহাজতে পেটাচ্ছিলাম ঠিক ততদিনই ছিলাম। চুরি চামারী ছাইড়া দেন

প্রশ্ন: ভাই..মাইয়া পটানোর সব থিকা সহজ বুদ্ধি কি..?

উত্তর: বাজার থেকে একটা ফীডার কিনে তা মুখে দিয়ে কোনো মেয়ের সামনে চলে যান। গিয়ে বলুন
"আমি কত্ত কিউত বাবু না বলো? কিন্তু আম্মু খালি আমাকে মালে :'( আমাল এক্তুও ভাল লাগেনা।
পিলিজ আমাল সাতে প্লেম কলো" মাইয়া পটবে মাস্ট।  এর চাইতে সহজ বুদ্ধি দিবার পারুম নাহ।
আল্লাহ প্রশ্ন দেইখা কান্তে মুঞ্চাইতাছে। মনে হয় আমি ডেইলি দুই চাইরটা মাইয়া পটাই

প্রশ্ন: আপনার ফলোয়ার কত?

উত্তর: আমার অনেক ফলোয়ার্। রাস্তা দিয়ে যখন হাটি তখন আমার পেছনে অনেকেই থাকে।
শপিং মলে গেলেও পেছনে অনেকে থাকে। সিনেমা হলে গেলেও পেছনে অনেকে থাকে।
ক্লাস করার সময়ও আমার পেছনে অনেকে বসে থাকে। যেখানেই যাই না কেন আমার অনেক ফলোয়ার
থাকে

প্রশ্ন: ভুট দিতে পারলে কাইল কারে ভুট দিতেন? হাচা করি কন তো..

উত্তর: ভুট কি? চুম্মা টাইপের কিছু নাকি? তাইলে মেহজাবিন  ইজ মাই ফার্স্ট চয়েজ :-P

প্রশ্ন: আপনি এত্তো ফেমাস কেন ভাই?

উত্তর: আসলে আমি "ফেসবুক মারপিট সংস্থা=ফেমাস" এর  চেয়ারম্যান ছিলাম। তাই শর্টকাটে আমাকে সবাই ফেমাস
চেয়ারম্যান বলেই জানে। বুঝতেই পারছেন আমি কেন ফেমাস
[চাপাবাজির একটা লিমিট আছে >_< এটম খাইয়াও এতবড় চাপা মারা যায় না ]

শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৪

আজব প্রশ্নের গজব উত্তর: পর্ব-৯ (রম্য)

প্রশ্ন: রোনাল্ডো যে ব্যালন ডি অর পাইলো কিন্তু মেসি পাইলো না। এইটা নিয়ে আপনার
অনুভূতি কি?
উত্তর: ছি ছি ছি বেলুন দি ওর……এইসব কি? আর মাছিই বা বেলুন দিয়ে কি করবে? রোনাল্ডোর যত
গার্লফ্রেন্ড তাতে জন্ম নিয়ন্ত্রনের জন্য বেলুন টা ওকে দেয়াই যুক্তিযুক্ত হয়েছে বলে মনে করি।
প্রশ্ন: জেনিট্রন কি?
উত্তর: ইলেক্ট্রন, প্রোটনের মত জেনিট্রনও এক প্রকার কণা। বেসম্ভব সুন্দর মাইয়ার রুপের গুফুন রহস্যের পিছনে এই কনার হাত, পা, মাথা আছে। যার মাঝে উপস্থিত
সেই মাইয়া সুন্দরী
প্রশ্ন: ভাই বালা আসুইন?ভোট দিয়েছেন?
উত্তর: "বালা আসুইন" ডা বাংলায় ট্র্যান্সলেশন করে দেন। আমি মাঝে মাঝেই ভোট দেই। বিভিন্ন।
রিয়েলিটি শো তে দেখেন না বলে, "মোর গান যদি আন্নের বাল লাগে তয় মোরে এক খান ভুট
দিয়েন। মোরে ভুট দিবার লাগি ডায়েল করুইন ganja <space> Iva (ইভা রহমান)" এইগুলারে ভুট
দিতে দিতে ম্যালা ভুট দিয়া হালাইছি
প্রশ্ন: আস্কে একাউন্ট খুলতে চাইতাছি। কেমনে খুলুম?
উত্তর: ১/ প্রথমত আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র
থাকতে হবে ! (ফটোকপি গোলাম
আজমরে দিয়া সত্যায়িত করাইতে হবে !)
২/ চারিত্রিক সনদপত্র থাকতে হবে। (ফটোকপি হুমু
এরশাদরে দিয়া সত্যায়িত করাইতে হবে !গার্লফ্রেন্ড
নিয়া যাবেন না, রাইখা আসতে হইতে পারে)
৩/ ই-মেইল একাউন্ট থাকতে হবে।
( (ফটোকপি মোস্তফা জব্বাররে দিয়া সত্যায়িত করাইতে হবে !)
৪/ ব্যাংক আকাউন্ট থাকতে হবে ! ( (ফটোকপি আবুল
মালরে দিয়া সত্যায়িত করাইতে হবে ! তবে আপনার শেয়ার
বাজারে বিও একাউন্ট থাকলে উনারে ভুলেও বলবেন না !!))
অনেক আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। এসবে কি পোষাবে? :-/ তার চেয়ে না খোলাই ভালো

প্রশ্ন: কিতা খবর?
উত্তর: দু:খিত আপনি ভুল করে ask.fm এ টিউন করে ফেলেছেন। খবর শুনতে চাইলে টিউন করুন এবিসি রেডিও 89.2
তে। আর সেই ফাকে আমি আস্ক এফএমেও খবর প্রচারের জন্য আবেদন করি। টুং টাং টু টু টু টুট টুট টু
প্রশ্ন: আপনার ঘাড়ে মাথা কয়টি?
উত্তর: নিজের মাথা একটাই। মাঝে মাঝে কয়েকজনের মাথা কেটে এনে গলায় ঝুলিয়ে রাখি
প্রশ্ন: আর কত ফাইজলামি করবি। ফাইজলামির্ও তো একটা সীমা আছে, নাকি?
উত্তর: ফাইজলামির লিমিট আছে এইটা কোন সংবিধানে লেখা আছে? ওইসব চুদুর বুদুর সংবিধান মানিনা। বাই দ্যা ওয়ে, ফাইজলামির লিমিট থাকলেও আমি সেই লিমিট মানিনা।
প্রশ্ন: তোমার সাথে প্রেম করেই ছাড়বো । চ্যালেঞ্জ
উত্তর: বাউরে বাউ এইডা চ্যালেঞ্জ না থ্রেট? প্রেম করার পর কি ছাড়বা? নেশা টেশা করার অভ্যাস
আছে নাকি? তাইলে প্রেমডাও করার দরকার নাই।
প্রশ্ন:  আপনে কি ভার্জিন?
উত্তর: আমি কোনো জ্বীন না। আমি মানুষ, Homo sapiens(underlined)
পুনশ্চ: আপনি বানান ভুল করেছেন ধরে নিয়েছি।
পুনপুনশ্চ: প্রশ্ন কিরে বাবা! মাইনষের এত সন্দেহ ক্যান? :-(
প্রশ্ন: আমি একটা ওয়েবসাইট হ্যাক করতে চাই। কিভাবে করবো একটু বলুন তো?
উত্তর: যেই ওয়েবসাইট হ্যাক
করতে চান তাদেরকে মেইল পাঠান,
ওরা নিজেরাই হ্যাক করে রাখবে, আফনের আর কষ্ট
করতে হবেনা

সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৪

নববর্ষে ইলিশ ক্রয় (রম্য)

পহেলা বৈশাখের আগের দিন এক ভদ্রমহিলা ফ্রীজ তছনছ করে কোনো ইলিশ মাছ পেলেন না !!এখন ইলিশ মাছ কিনতে যেতে হবে। কিন্তু ইলিশ মাছ কিভাবে কিনে সেটা ভদ্রমহিলা জানেন না!

এব্যপারে সমাধান চাইতেই এক ভদ্রলোক চিৎকার  করে বলে উঠলো, "ইয়া মাবুদ!!!! আমাদের আপা একটা অত্যন্ত জটিল রাজনৈতিক সমস্যায় জড়াইয়া গ্যাছেন। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত। আপা মনেহয় পাকা রাধুনী....ইলিশের মতন জটিল একটা বিষয়বস্তু নিয়ে নাড়াচাড়া করার যোগ্যতা তিনি রাখেন।

যাই হোক আপনাকে কয়টা সমাধান দেই।"
অতঃপর ভদ্রলোক সমাধান দেয়া শুরু করলেন।

১। একটা বোতল নেন তারপর মুদি দোকানে গিয়া বলেন ২ লিটার দেশী ইলিশ দেন তো ভাই।

২। নববর্ষের সময় ইলিশ লিটারে নাও পাইতে পারেন। দামে যদি পড়তা না হয়  তবে দোকানে গিয়া বলবেন এক চটাক ইলিশ দেন !

৩। ইলিশের দাম শুনে আপনার হার্ট এ্যাটাক হতে পারে। তাই সাথে  অবশ্যই ডাক্তার রাখবেন।

৪। মাছের বাজারে গিয়ে যতদূর সম্ভব মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। দাম শুনে মাথা গরম হলেই এলাহী কান্ড ঘটে যেতে পারে।

৫। ইলিশ মাছ  কেনা নিয়া একটা দরপত্র আহবান করতে হবে, এরপর ওখান থেকে বেছে দেখবেন কে কম
দামে দিবে। তারপর #স্যাম্পল টেস্ট
করবেন, পছন্দ হলে তাকে ব্যাংকে এলসি এর মাধ্যমে অর্ডার ও পেমেন্ট করবেন। চাইলে এই বিষয়টা তদারকি করার জন্যে আমাকে লবিস্ট ফার্ম হিসেবে নিয়োগ দিয়ে পারেন।

৬। ইলিশ কেনার আগে জেনে নেবেন ইলিশ টা সাঁতার পারে কিনা। আর খবরদার জমে যাওয়া ইলিশ  কিনবেন না। সয়াবিন ইলিশের  বদলে ইদানিং পামওয়েল ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।

৭। বাজারে ফরমালিন ছাড়া কোনো ইলিশ পাবেন না। তাই, "মাছে ফরমালিন আছে, এই মাছ নেবো না" এইগুলো বলে একদম ক্যাচাল করবেন না। যদি মাছে #ফরমালিন না থাকে তাইলে বুঝবেন ঐটা আসল মাছ না। একটা কথা মনে রাখবেন, ফরমালিন ছাড়া ইলিশ অসম্ভব।

৮। টাকা একটু বেশি লাগলেও পারলে একটা বড় সাইজের ইলিশ কিনুন। ইলিশের কিছু অংশ এ বছর খাবেন। আর #ফ্রীজে রেখে দেবেন কিছু অংশ পরবর্তী বছরের জন্য।

৯। ইলিশের জুস বানিয়ে রাখতে পারেন। পরবর্তী বছরে যদি ইলিশ না পান তবে পাঙ্গাস মাছে ইলিশের জুস মিশিয়ে রান্না করবেন। এতে কিছুটা হলেও ইলিশের স্বাদ পাবেন। একটু বুদ্ধি খাটালে চিরকাল আরাম করা যায়।

১০। ইলিশের কাটাগুলোকে অখাদ্য ভেবে ফেলে দেবেন না। মনে রাখবেন ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ।

৮,৯,১০ নাম্বার স্টেপ গুলো মাথায় রাখবেন প্লিজ।
[সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল
রান্না শেষে আমাকে দাওয়াত
দিতে ভুলবেন না :-P ]

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪

ছাগলনামা এবং কাঠালে ছাগলের অবদান (রম্য)

ছাগল একটি উপকারী জন্তু। কোনো এক জনৈক ব্যক্তি ফুটবলের বদলে ছাগলের ছা কে কিক মারে এবং সেটি গোলপোস্টে ঢুকে যায়। সেই থেকেই এর নামকরণ করা হয় ছাগোল যা বিবর্তনের মাধ্যমে ছাগলে রুপান্তরিত হয়। ছাগল কোনো কাপড় চোপড় পরেনা। তাই বলে তারা অসভ্য নয়। তাদের পুরো শরীর কুন্তল দ্বারা আবৃত থাকে। ছাগলের এই কুন্তল বিভিন্ন রঙের হয় তবে কালো কুন্তলধারী ছাগলই বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এর থেকেই সম্ভবত "কালো জগতের আলো" কথাটি এসেছে। মাংস হিসেবে ছাগলের কদর এদেশে বেশ এবং দামেও অন্যান্য মাংসের চেয়ে ঢের বেশি। ছাগলের দুধের রং সাদা। যা খেলে মানুষের মনও সাদা হয়ে যায়।

ছাগলের এক জোড়া দুইটা পা আছে। কারো মতে ছাগলের পায়ের সংখ্যা অর্ধ ডজনের দুই-তৃতীয়াংশ। আবার কারো মতে সংখ্যাটা এক হালি। হালির হিসেবে ডিম পাওয়া যায়। ছাগল ডিম পাড়ে না। তবে ছাগলের কাছ থেকে ডিমের মত কালো কালো ল্যাদা পাওয়া যায়। এগুলো কে যারা ডিম মনে করে ভুল করে তাদের "ছাগল" বলে গালি দেওয়া হয়। গালি হিসেবে "ছাগলের বাচ্চা" "তুই একটা ছাগল" "তুই একটা #রামছাগল" এইগুলো বেশ সমাদৃত। বিশেষ করে বন্ধু মহলে ছাগল বলে গালি দেওয়াটা কমন ব্যপার। গালিশিল্পে বিশেষ অবদান রয়েছে ছাগলের।

ছাগলের সবচেয়ে বড় অর্জন এটি পাকিস্তানের জাতীয় পশু। পদার্থবিজ্ঞানেও ছাগলের অবদান রয়েছে।

বিজ্ঞানী নিউটন ঘানিতে গরুর বদলে ছাগল ব্যবহার করতেন। তার ছাগল টা ছিল খুব অলস। তাকে যদি আঘাত করা অর্থাৎ বল প্রয়োগ করা না হত তবে সে জায়গায় #স্থির থাকতো। ছাগল টিকে বল প্রয়োগ করা হলে ছাগলটি চলতে শুরু করতো। এই থেকে নিউটন তার গতিবিষয়ক প্রথম সূত্র "বাহ্যিক কোনো বল প্রয়োগ না করলে, স্থির বস্তু স্থির থাকে এবং গতিশীল বস্তু সমবেগে চলতে থাকে" প্রদান করেন।

একসময় তিনি ছাগল টিকে F বল প্রয়োগ করায় ছাগল টি ম্যা(ma) বলে ডেকে উঠে। সেখান থেকে তিনি F=ma সূত্রে উপনীত হন।

তিনি ঘানিতে গতিশীল ছাগলের উপর পুনরায় বল প্রয়োগ করেন। এতে ছাগলের বেগ পরিবর্তিত হয়, এবং যেদিকে বল প্রয়োগ করেছিল ছাগল টিও সেদিকে চলতে থাকে। এই থেকে তিনি তার গতিবিষয়ক ২ইয় সূত্র "বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার বস্তুত উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যেদিকে ক্রিয়া করে সেদিকে এ পরিবর্তন ঘটে" প্রদান করেন।

বেশি বল প্রয়োগ করায় ছাগল টি রেগে গিয়ে নিউটন কে রাম লাত্থি মারে। সেই থেকে নিউটন তার তৃতীয় সূত্র "প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত #প্রতিক্রিয়া আছে প্রদান করেন"

এই বহুগুণে গুণান্বিত প্রানীটির প্রিয় খাদ্য কাঠাল পাতা। কাঠাল পাতার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাঠালের চাষ করতে হবে। কিন্তু অনেকেই কাঠালের বৈজ্ঞানিক নাম জানেন না যা ছাগল এবং কাঠালের জপ্ন্য অপমানজনক। কাঠালের বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus .
তো আমরা এতক্ষন ধরে কাঠালের বৈজ্ঞানিক নাম জানার গুরুত্ব বুঝলাম।

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৪

প্রশ্ন ফাঁস প্যারোডি (রম্য)

আল্লার ওয়াস্তে একটা প্রশ্ন ফাঁস করেন মা।

আল্লার ওয়াস্তে একটা প্রশ্ন ফাঁস করেন মাআআআ।

আমি অন্ধ পরীক্ষার্থী,

আন্ধার দেখি দিবা রাত্রি।

আল্লার ওয়াস্তে একটু রহম করেন মা।

ওরে বাত্তর জন্তর মন্তর,

প্রশ্ন চাইলে ধুর ছাই ধ্যাত্তর

প্রশ্নই সম্বল প্রশ্নই মঙ্গল

এইডা তো ভাই কেউ বোঝেনা।

যখন প্রশ্ন যায় ফাঁস হইয়া।

মন্ত্রী আসে আছোলা বাঁশ লইয়া

ঢুকাবে যে কোনদিক দিয়া

সেইটা তো খুইজা #পায়না ।

ও মন্ত্রী একটু রহম করো

প্রশ্ন ফাঁসে হেল্পু করো

ফাঁস কারীগো পেটে লাত্থি মাইরো না।

শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৪

প্রশ্ন ফাঁসের হৈমন্তী ভার্সন (রম্য)

পরীক্ষার্থী সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু প্রশ্ন ফাঁসকারী সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন মেয়েটির পরীক্ষার সময় ঘনিয়া আসিতেছে, কিন্তু আর কিছুক্ষণ গেলে সেটাকে আলসেমী বা অবহেলা কোনো রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে। পরীক্ষার সময় অবৈধ রকমে ঘনিয়া আসিতেছে বটে, কিন্তু প্রশ্ন ফাঁসের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো তাহার চেয়ে কিঞ্চিৎ উপরে আছে, সেইজন্যই তাড়া।

আমি ছিলাম প্রশ্ন। সুতরাং, প্রশ্ন ফাঁস সম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিল। আমার কাজ আমি করিয়াছি, কম্পোজ হওয়ার পর প্রিন্ট হইয়াছি। তাই প্রজাপতির দুই পক্ষ, পরীক্ষার্থীপক্ষ ও ফাঁসকারীপক্ষ, ঘন ঘন বিচলিত হইয়া উঠিল।

আমাদের দেশে যে একবার ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পাইয়াছে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সম্বন্ধে তাহার মনে আর কোনো উদবেগ থাকে না। #নরমাংসের স্বাদ পাইলে মানুষের সম্বন্ধে বাঘের যে দশা হয়, প্রশ্ন সম্বন্ধে তাহার ভাবটা সেইরূপ হইয়া উঠে। অবস্থা যেমনি ও সময় যতই কম থাকুক, প্রশ্নের অভাব ঘটিবামাত্র তাহা পূরণ করিয়া লইতে তাহার কোনো দ্বিধা থাকেনা। যত দ্বিধা ও দুশ্চিন্তা সে দেখি আমাদের মত প্রশ্নদের। প্রশ্ন ফাঁসের পৌন:পুনিক #প্রস্তাবে পরীক্ষার্থীদের ফ্যাকাসে চুল এবং ফাঁসকারীদের ফ্যাকাসে, আধাপাকা, ফুলপাকা অথবা টেকো মাথা কলমের কালি প্রশ্নের কালি জুতার কালির আশীর্বাদে পুন:পুন: আলকাতরা কালো হইয়া যায়, আর বারংবার প্রশ্ন ফাঁসের আঁচেই ভাবনায় একরাত্রে পরীক্ষা স্থগিতের উপক্রম হয়।

বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৪

প্রশ্ন ফাঁস থিম সং (রম্য)

তিন ঘন্টার এক্সাম,
সিক্সটিন সিক্সটিন,
প্রশ্ন সব হবে ফাঁস ,
হাউ এক্সাইটিং।
কোয়েশ্চান ইজ ওয়েটিং ,
নো নো  টেনশন,
ধিন চিতা ধিন ধিন,
ধিন ধিন, ধিন ধিন ।
চারিদিকে হই হই ,
প্রশ্ন পাওয়া যাবে কই?
চারিদিকে হই হই ,
প্রশ্ন পাওয়া যাবে কই?
ওহ মাম্মা ,
নো রিডিং নো রিডিং,
হাত বাড়ালেই,
প্রশ্ন ওয়েটিং প্রশ্ন ওয়েটিং।
দালাল আর শাউটিং,
বোম্বাস্টিং রকিং ,
পোলাপান চিয়ারিং,
এভ্রিবডি #হিয়ারিং,
প্রশ্ন ফাঁসে,
জমবে লড়াই,
খুশির সীমা নাই,
ভুয়া না আসল সেট ,
সবাই করবে কালেক্ট,
যে যার মত ভাই।
নাই নাই, প্রশ্ন যে নাই ,
যাই যাই, বেরিয়ে যাই,
চলো সবাই,
একই সাথে প্রশ্ন খুজে #বেড়াই।
ধিন চিতা ধিন ধিন,
ধিন ধিন, ধিন ধিন ।
চারিদিকে হই হই ,
প্রশ্ন পাওয়া যাবে কই?।
চারিদিকে হই হই ,
প্রশ্ন পাওয়া যাবে কই?
ক খ সেটে রেশারেশি,
সবই হবে বেশি বেশি,
বন্ধু শত্রু রাগারাগি,
সব প্রশ্ন  ভাগাভাগি।
এমনই সব প্রশ্নের সেট,
কেউ দেখেনি আগে,
অবাকচোখে দেখরে প্রশ্ন,
কোন সেট টা যায় লেগে।
চারিদিকে হই হই ,
প্রশ্ন পাওয়া যাবে কই?
চারিদিকে হই হই ,
প্রশ্ন পাওয়া যাবে কই?

 
Tricks and Tips