[স্পয়লার এলার্ট]
গতকাল জিপি তে ৪গিগাবাইট ডাটা ফ্রী পাওয়ার পর আমার শুধু একটাই অনূভুতি হয়েছিল "এ তো অসম্ভব!" আমার অনূভুতি কে সত্য প্রমান করার জন্য কিনা জানিনা ঠিক তখনই অনন্ত জলিলের মোস্ট ওয়েলকাম ২ এর পোস্টার সামনে পড়ে গেল। আসলেই তার সামনে পড়ে যাওয়ায় অসম্ভবই সম্ভব হয়ে গেছে। পোস্টারে দেখলাম গ্রামীন ফোন এই সিনেমার স্পন্সরও। তাই সিনেমাটা দেখার জন্য তর সইছিল না। সুমন আর সুদীপ্ত কে বলতেই তারা রাজী হয়ে গেল। তিনজন বেশ ভালো একটা জায়গায় গিয়ে বসে পড়লাম। যেহেতু অনন্তের সিনেমা তাই অভিনয় শিল্পীদের আলাদা করে পরিচয় করে দেয়ার প্রয়োজন নেই।
অনন্ত জলিলের সিনেমায় প্রতি মূহুর্তে চমক থাকবে না সেটা কি হয়! কিন্তু নাম দেখানো থেকেই যে চমক শুরু হবে সেটা বুঝিনাই। কোনো এক কালে একটা দোকানের উপরে দেখেছিলাম সেখানে লেখা আছে "ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার মো: আব্দুল খালেক এমবিবিএস এন্ড এল এল বি" নিচে ছোট করে চর্ম, যৌন, হোমিওপ্যাথি, কবিরাজি ইত্যাদী বিশেষজ্ঞও লেখা ছিল সম্ভবত। সিনেমার পরিচয় পাট্টা পর্বে সুপার ডুপার ব্লকবাস্টার এ্যাকশন হিরো অনন্ত এতবড় নাম আর সাথে স্ক্রিপ্ট রাইটার, প্রযোজক, পরিচালক অনন্ত দেখে আমার সেই ইঞ্জিনিয়ার এমবিবিএস ডাক্তারের কথা মনে পড়ে গেল। ভাই পারলে ক্যামেরা ম্যানের দায়িত্বটাও নিতেন। সেলফি স্টাইলে ক্যামেরা ধইরা শুটিং করতেন। পরিচয় পাট্টা পর্বে আরো ছিল গ্রামার না গ্ল্যামার গার্ল বর্ষা (টাইটেলের ফন্ট ভালো আছিল না আসলে)। অনন্ত বর্ষারে খুব জিগাইতে মুঞ্চায় এই "সুপার ডুপার এ্যাকশন হিরো" আর "গ্ল্যামার গার্ল" এই টাইটেল দুইটা তারা কই পাইছে মানে কারা দিছে? তারা নিজেরা নিজেরা লাগাইলে ঠিক আছে :3
পরিচয় পাট্টা নিয়ে মাথা ঘামাতে ঘামাতে দেখি আল জাজিরা, বিবিসি, সিএনএন আরো কি কি চ্যানেল জানি চেঞ্জ হচ্ছে । কি মুশকিল! আইলাম সিনেমা দেখতে ক্যাডা জানি প্রজেক্টরে ডিশ টিভি লাগায়া দিছে। ভালো করে খেয়াল করে দেখি নিউজ রিডার দের মুখের সাথে সাউন্ড মেলেনা। ওইত্তেরী শুরুতেই চ্যানেল গুলার কাটপিস লাগায়া দিছে! দেখা যাচ্ছে নিউজ রীডার ভারতের নির্বাচনের নিউজ পাঠ করছে আর জলিল সাহেব ডাবিং এর সময় ক্যান্সারের প্রতিষেধক আবিষ্কার সংক্রান্ত ভয়েস জুড়ে দিয়েছে। সারা বিশ্বের মিডিয়া এতো তোলপাড় কারন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী হাসান মইন ক্যান্সারের প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু সেইটা সারা পৃথিবীতে ব্রেকিং নিউজ আকারে প্রকাশ হচ্ছে। সম্ভবত এটাই প্রথম ঘটনা কোনো কিছু আবিষ্কার হওয়ার পর সেটা ব্রেকিং নিউজ আকারে প্রকাশ হচ্ছে।
রোবট সিনেমায় দেখেছিলাম রজনীকান্ত রোবট বানাতে গিয়ে এক হাত লম্বা দাড়ি গজিয়ে ফেলেছেন। এখানে এসে দেখলাম হাসান মইন সাহেবের চুল সম্ভবত সার্ফ এক্সেল, টাইড, হুইল পাওয়ার হোয়াইট যত প্রকার পরিষ্কারক বস্তু আছে তা দিয়ে সাদার চেয়েও সাদা বানিয়ে দিয়েছে। পরে মনে হয় সাদা রংও লাগিয়ে দিয়েছে তা না হলে চুল দেখে আমার চোখ ঝলসাতো না। চুলের পর গোফের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম এ গোফ দ্বিস্তর বিশিষ্ট। দুই স্তরের রং দুইরকম। না জানি গবেষণা করতে গিয়ে আরো কয় স্তর হয়।
ক্যান্সারের প্রতিষেধক আবিষ্কার নিয়ে হাসান মইন সাহেব সংবাদ সম্মেলন করছেন। সে সময় দেখা গেল সামনের সারিতে বসে থাকা একজনের বুকে বোতামের মতো ক্যামেরা লাগানো। কিন্তু সেই ক্যামেরা থেকে নীল লেজার রশ্মি বেরিয়ে এসে ক্যান্সারের প্রতিষেধকের প্রেজেন্টেশন টার ভিডিও করছে। এই লেজার ওয়ালা ভিডিও ক্যামেরা বানিয়েছে যে তাকে নিয়ে একটা সংবাদ সম্মেলন করা উচিত।
ভিলেন রা সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞানী কে আক্রমন করতে আসলো আর তখনই এ্যাকশন হিরো অনন্ত জলিল হাসপাতালের দোতলার কাচ ভেঙ্গে নিচ একটা গাড়ির উপর জাম্প দিয়ে পড়লো। সাথে সাথে পাশের দুইটা গাড়ি উল্টিয়ে পাল্টিয়ে চিৎ হয়ে কাৎ হয়ে উড়ে গেল। আর অনন্তের চাপে যে গাড়ির উপর জাম্প দিয়েছিল সেটায় আগুন ধরে গেল। পরে অবশ্য কারো সাহায্য ছাড়াই আগুন নিভে গেল দোতলাতেও কোন ভাঙ্গাভুঙ্গা দেখা গেল না। ছে কি এ্যাকছন গুরু একেবারে ফাটিয়ে দিয়েজে। মাইরি বলছি। এইবার আমি মেনে নিলাম পরিচয় পাট্টা পর্বের টাইটেল ঠিক আছে।
গ্ল্যামার গার্ল বর্ষা স্ক্রিনে এসেই দেখি চাপাবাজী করছে অনন্ত তার বয়ফ্রেন্ড হেন তেন। এ তো দেখি জন্মের আগে থেকেই প্রেম হয়ে আছে। যাহোক একটু পরেই গানের দেখা পাইলাম। গানের ভিতরে জলিল সাহেব এন্টার্কটিকা মহাদেশের বরফ, মরুভূমি, উলফেনস্টেইন গেমের সিড়ি হাবিজাবি আরো বহুত কিছু দেখাইলেন। তাদের পায়ের নিচ দিয়ে এনটার্কটিকার বরফ, মরুভূমি দৌড় দিয়ে বেড়াচ্ছে, মাটি আর তাদের পায়ের মধ্যবর্তী শূণ্যস্থান দুই ইঞ্চি। অনন্ত যখন সিড়িতে বসে আছেন তার বসা সংলগ্ন স্থান এবং সিড়ির ধাপের মাঝে দুই ইঞ্চি গ্যাপ। কেউ শূণ্যে বসে থাকতে চাইলে যা হয় আর কি। মজার ব্যপার হলো বস ক্রোমা শট মারতে গিয়ে তার বসার জায়গার প্যান্ট থেকে বেশ কিছু অংশ ইন্দুর খাওয়া মতো করে খেয়ে ফেলেছে :-P [বিস্তারিত বললাম না ইশারা ইঙ্গিতে বুঝে নেন :-P ]
এইবার দেখা গেল ঢাকা শহরের একটা পিচ্চি ফকির অনন্তের কাছে গড়গড় করে ভিক্ষুক সিন্ডিকেটের তথ্য দিচ্ছে। ভাই ঢাকা শহরের ভিক্ষুক রা এত বলদ না যে আপনারে হুদাই হাড়ির খবর কইবো। পিচ্চির তথ্য মতো জলিল সাহেব ভিক্ষুক সিন্ডিকেটের লীডার কে নীতিবাক্য শোনাচ্ছে। ধুর ভাই গরীব রাও মানুষ এই টাইপ নীতিবাক্য শুনতে শুনতে কান পঁচে গেছে। তার উপর আপনে অলরেডি ওল্ড মডেলের বেশ কয়েকটা নীতিবাক্য ডেলিভারি দিয়া দিছেন। দুসরা ছাড়েন, নীতিবাক্য দিয়া উইকেট পড়বো না। বস এই বার যেই দুসরা দিলো তাতে একটা মাথাভোঁতা মোটা কাঠ ভিক্ষুক সিন্ডিকেটের লীডারের ডান পা এফোঁড় ওফোঁড় করে এক হাত বেরিয়ে গেলো। একেবারে ক্লিন বোল্ড রাইট স্ট্যাম্প ফাতাফাতা। বোল্ড করার সাথে সাথে বৃষ্টি নামার মতো করে ঘটনাস্থলে পুলিশ আর সাংবাদিক হাজির হলো। বস সাংবাদিক দেরও কিছু নীতিবাক্য ডেলিভারী দিলেন। জলিল সাহেবের হাতের আর মুখের মুভমেন্টের সাথে সংলাপের কোনো মিল নাই। অবশ্য এই ধারা তিনি পুরো সিনেমাতে বজায় রেখেছেন। সাংবাদিক দের হাতের মাইক্রোফোন দেখে মনে হলো এগুলো কোনো পাটকাঠিতে (অথবা সরু লাঠি দিয়ে বানানো স্ট্যাম্প) এলোপাথাড়ি কচটেপ পেচিয়ে বানানো হয়েছে। সেই সংবাদ আবার দেখাচ্ছে AJ (Ananta Jalil) টিভিতে :3 এইটা দেখে প্রচুর হাসছি :-P
বিজ্ঞানী কে উদ্ধার করার সময় অনন্ত জলিল গাড়ি দিয়ে একটা গেট ভাঙলো, গেট টা কয় হাজার টুকরা হলো তার ইয়োত্তা নাই। আজ কাল গাড়ির ধাক্কায় লোহার গেট হাজার টুকরা হয়ে যায়। এই কিডন্যাপের পর বিজ্ঞানীর সিকিউরিটি জোরদার করা হলো। জলিল সাহেব গ্রামীন ফোনের থ্রিজি ব্যবহার করে করে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগাচ্ছিলেন। একটু পরে বর্ষা অনন্তের অফিসে এসে হাজির্। অনন্তও বর্ষার হাত চেপে ধরলো (নোট এইটা কিন্তু সিনেমায় পুলিশ অফিসার অনন্ত আর বর্ষার প্রথম দেখা :-P )। আর তারপরই গান শুরু হলো "হাত ধরতে দিলে দেবো ঝালমুড়ি কিস করতে দিলে দেবো ক্যাডবেরী……… চিকেন তান্দুরী" বর্ষা আফা আপনে না জলিল স্যারের প্রেমে পড়ছিলেন? তো হাত ধরার পিড়াপিড়ি করার কথা তো আপনার্। উল্টা জলিল স্যার পিড়াপিড়ি করে ক্যা? নাকি আপনারা ভুইলা গেছিলেন কে কার প্রেমে পড়ছিল? অন্ততপক্ষে চিকেন তান্দুরী খাওয়ার লোভেও তো আপনারে হাত ধরতে দেয়া উচিত কারন বেশ কয়েকবার আপনারে রেস্টুরেন্টেই দেখলাম। গানে অনন্তের ড্যান্স সে আরেক বস্তু। ড্যান্সের একেকটা মূদ্রা দেখে মনে হচ্ছিল সে ট্রাফিক পুলিশ, ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ির যানজট ছাড়াচ্ছেন। বাকি মূদ্রাগুলোর কথা বললে বিষয়টা অশ্লীল হয়ে যাবে :-P
বর্ষাকে ভিলেন রা ঢাকা থেকে কিডন্যাপের চেষ্টা করে আর কোথা থেকে অনন্ত এসে বর্ষাকে মোটর সাইকেলে করে নিয়ে যায় এবং দেখা গেল তারা পাহাড়ি এলাকায়। তাদের তাড়া করতে থাকা গাড়ি থেকে ভিলেন রা পিস্তল দিয়ে গুলি করছে। সেই পিস্তল থেকে প্রথমে হোমিওপ্যাথিক শিশির সাইজ তারপর পটল সাইজ তারপর পেপে তরমুজ সাইজের মিসাইল ছুটে আসতে লাগলো। ভয়ে আছি কখন না জানি রকেট সাইজের টোমাহক ক্ষেপনাস্ত্র বাইর হয়। এইসব মিসাইল গুলা অনন্ত বর্ষাকে সাইড দিয়ে গাড়ি, ট্রাকে গিয়ে লাগলো। ভাই একটা প্রশ্ন ছিল গাড়ি গুলা কি জিটিএ ভাইস সিটি গেম থেইকা ধার কইরা আনছেন? না মানে সেইগুলা দেইখা তো অরজিনাল মনে হইলো না। তাছাড়া টুক্কাটুক্কি লাগলেই বিগ ব্যাং এর মতো ব্লাস্ট হয়ে যাচ্ছে।
এই সিনেমার সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হলো সিনেমার গান গুলা। প্রায় প্রতিটা গানের ব্যাকগ্রাউন্ডেই ক্রোমা শট দিয়ে স্টিল ইমেজ বসিয়ে দিয়েছেন। এই কাজ টা মোড়ের মাথার কম্পিউটারের দোকানের পিচ্চিও পারে। আমি নিজেই ক্লাস সেভেনে থাকতে এই ক্রোমা শট দেওয়া শিখছি। তো কাহিনি হইলো ক্রোমা শট দিছেন ভালো কথা কিন্তু সেইগুলা আপনার পায়ের তল দিয়া নইড়া বেড়াইতেছে ক্যান? মাঝে মাঝে আপনার শরীরের পাশ দিয়ে সাদা বর্ডারও দেখা যাচ্ছে। বস এই লেভেলের পাগলামী না করলে চলতো না?
অনেক গবেষণা করে অনন্তের একটা ইউনিক ড্যান্স (ঠিক ড্যান্স না, স্ট্যাচু বলা যায়) আবিষ্কার করলাম। প্রায় প্রতিটা গানেই বেশ কয়েকবার স্ট্যাচু স্টাইলে তাকে দেখা যায়। এতে তার ডান পা ৭০° এঙ্গেলে এবং বাম পা ৮৫° এঙ্গেলে থাকে আর হাত দুটো প্রসারিত থাকে। দারুন স্টাইল না? :-D
সিনেমার এক অংশে ভিলেন নিনো হেলিকপ্টারে করে বিজ্ঞানী হাসান মইন কে নিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এক দৃশ্যে দেখা গেল অনন্ত ছোট্ট একটা জাম্প দিলেন তারপরের দৃশ্যে দেখা গেল তিনি হেলিকপ্টারের নিচে ধরে ঝুলে আছেন। ভাই আপনি যে জাম্প দিয়ে হেলিকপ্টার ধরেছেন তার প্রমান কি? আবার তার পরের দৃশ্যেই দেখা গেল দায়িত্বে অবহেলার কারনে অনন্তকে মিডিয়া ধুয়ে দিচ্ছে। ভাই তাইলে আপনে হেলিকপ্টারে ঝুইলা কি করতেছিলেন? নাকি ভুলে সিনেমায় হেলিকপ্টার শট ঢুকায়া দিছেন?
দায়িত্বে অবহেলার কারনে অনন্ত চাকরীতে ইস্তফা দিলো তারপরই পুলিশ এসে গ্রেফতার করলো। গ্রেফতারের পর উরে মাইর্। পা উপরে ঝুলাইয়া পিটাইতেছে। তারপর দেখা গেলো অনন্ত সেলের ভিতর থেকে বেরিয়ে এলো। ভাই আপনে না ঝুইলা ছিলেন? নামলেন ক্যাম্নে আর বাইর হইলেন ক্যাম্নে? ধুর সুপারহিরো দিয়া সব সম্ভব। এরপর অনন্তের পেটে মিশা ঘুষি মারে কিন্তু অনন্ত এক চুলো নড়েনা অথচ মিশার হাত মচকে যায়। আগের বার পেটে চাকু মারছিল ভাগ্যিস সেইটা ভাইঙ্গা যায়নাই :-P মিশাকে প্রথমবার কন্ট্রাক্ট দেয়ার সময় তাকে নিনো ৫০মিলিয়ন ডলার দেবে বলেছিল। এবার মিশা বলল সে ৫বিলিয়ন ডলার পাবে কাজ করে দিলে। আগে ঠিক করে ডলার মিলিয়নে দিবেন না বিলিয়নে দিবেন। একেকবার একেক কথা ভালো লাগে না।
এইবার ভিলেন রা কি না কি ভাইরাস কুকুরের ভিতর পুশ করে দিলো আর তাতে সারা শহরের মানুষ আক্রান্ত হলো। পুরা শহর ছোয়াচে রোগে আক্রান্ত। মানুষ ভেদবমি করে খিচুনি দিয়ে অস্থির। এইগুলা অবশ্য কৃশ থ্রি সিনেমার কাটপিস। ডাক্তার রা ডুবুরীদের মাস্কের মতো আজব টাইপ মাস্ক পরে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। অবশেষে হাসান মইনের ক্যান্সারের প্রতিষেধক দিয়ে এ রোগ সারলো। তার মানে এইটা ছোঁয়াচে ক্যান্সার ছিল! আগে কইবেন না মিয়া। ভয় পাইয়া গেছিলাম রোগীগুলা যদি খিচুনি দিয়ে মারা যাবার পর রেসিডেন্ট ইভিলের ভূত হয়ে যেত! তাহলে তো আরেক সমস্যা হতো।
জলিল ভাইরে কিছু কই, ভাই পুরা সিনেমায় আপনার চুল ছোট আর এক জায়গায় চুল বড় সেইটা দেইখা আমার দোস্ত জিগায় "ওই নায়িকা কুনডারে?" আগে ঠিক করেন কোন সাইজের "চুল" ব্যবহার করবেন। বর্ষা যখন আপনাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো আর আপনি বললেন "এই কি করছো?" সেইটা দেইখা দোস্ত হাসে আর কয় "এই নায়িকা কুনডারে?" আপনি যখন খালি গায়ে মাইরপিট করেন তখন দোস্ত জিগায় "ওই নায়িকা কুনডারে?" সিনেমার শেষ দৃশ্যে যখন বর্ষার সাথে রোমান্স করেন তখন জিগায় "ওই নায়িকা কুনডারে?" কি জবাব দিমু আপনেই কন? এত পেইন সহ্য হয়? গুলি লাগার সাথে সাথেই গাছে বিশাল গর্ত দেখা যায় আবার তারপরই গর্ত মিলিয়ে যায়। এইটা কোন প্রযুক্তি? আপনে জাম্প দেয়ার সময় ক্রেনের ছায়া দেখা যায় এমনকি ক্রেনের একটা কোনাও দেখা যায়। ভাই এইগুলা খেয়াল করেন নাই? আপনে না "ট্যাকনোলজি" ব্যবহার করছিলেন? তো পুরা সিনেমার এই দশা ক্যান? যেই ক্যান্সারের প্রতিষেধক নিয়া এত কাহিনী লাস্টে সেইটারই খবর নাই, তাইলে এত কাহিনী করলেন ক্যান? চায়না ফোনে অডিও, ভিডিও, রেডিও, ক্যামেরা, টিভি, ফ্রীজ, ফ্লাশলাইট, হিটার ইত্যাদী থাকে আপনারও তো সেই দশা। নায়ক, প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার সব হইতে গেলে সিনেমার অবস্থাও তো চায়না ফোনের মতো হবে। ৬টা সিনেমা তো বানিয়ে ফেলেছেন। এবার শুধু প্রযোজক হয়ে যান, প্লিজ লাগে। গ্ল্যামার গার্ল বর্ষার অভিনয়ে পুরা বিরক্ত, আপনার অভিনয় দেইখা কান্না চাপে।
সিনেমার মানুষ আছে তাই মানুষ বাচে গান টা ভালো লেগেছে। হায়দ্রাবাদে করা শুটিং টাও বেশ ভালো লেগেছে। তবে সবচেয়ে যেটা ভালো লেগেছে সেটা হলো ফারিয়া। উফ একটা মেয়ে এত্ত কিউট হবে ক্যান?? ফারিয়ার উপর অনেক আগেই ক্রাশ খেয়েছিলাম আর আজ তো পুরা প্রেমে পড়ে গেলাম :-P
একটা দু:সংবাদ হলো হল থেকে বেরিয়ে দেখি জিপি আমার ৪জিবি নেট কেড়ে নিয়েছে :-( :-( এইটা কোন ধরনের মশকরা ছিল? :-(