ভাষা আন্দোলনের সবচেয়ে প্রধান কারন ছিল সালাম, রফিক এবং সেই সময়কার মানুষেরা খুব একটা ট্যালেন্ট ছিল না। তাদের ক্ষমতা ছিল না অতিরিক্ত আরেকটি ভাষা রপ্ত করার। তাই তারা রাজপথে নেমেছিল। আসলেই তারা বোকা ছিল। কারন তাদের এই হুশ টুকু ছিলনা যে উর্দু ভাষার জাত ভাই আমাদের প্রানের ভাষা হয়ে উঠবে। মুলত অর্থগত দিক দিয়ে হিন্দি আর উর্দু প্রায় একই। আমরা এতটাই ট্যালেন্ট যে আমরা একটা বাড়তি ভাষাই শুধু শিখছি না, সেটাকে আপন করে নিচ্ছি। ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারা বাংলা শেখার আগেই হিন্দি শিখে নিচ্ছে। তাদের কে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তোমার মাতৃভাষা কি তবে হয়ত তাদের কে চরম বিপত্তিতে ফেলে দেয়া হবে। আজকাল অনেকের ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভাষা আমার কাছে অপরিচিত মনে হয় কারন তা বাংলা নয়। পথে ঘাটে চলতে গেলে বিভিন্ন দোকান পাটের ঠিকানার শেষ অংশে বাংলাদেশ লেখা আছে কিনা তা ভালো করে লক্ষ্য করে নেই। কারন শব্দ দুষনের উৎস যে বাংলা গান নয় তা আম খুব ভাল ভাবে বুঝতে পারি। পড়শী, ইমরান এর মত জনপ্রিয় বাংলা(!) গানের শিল্পীদের
কিছু গানের ভাষা কেমন যেন অপরিচিত লাগছে। না আমার বাংলা জ্ঞান
এতটা দূরবল না। আমি দাবি জানাবো ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যেন একুশ তারিখ মুছে ফেলা হয়। প্রয়োজনে ২০তারিখের পর ২২ তারিখ আসবে। এবং ফেব্রুয়ারি মাস ২৯ অথবা ৩০ তারিখে শেষ হবে। আরেকটা দাবি থাকবে বাংলার পাশাপাশি সেই স্পেশাল ভাষাটিকে অফিসিয়ালি স্বীকৃতি দেয়
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন