আমি বাংলা সিনেমা দেখি। কিন্তু বিশ্বাস করেন আমার রুচিতে বাধে এসব দেখতে। বিশ্বাস করেন মনচায় হলের মাঝে বমি করে দেই। আমার মাইগ্রেনের প্রবলেম থাকলে আমি নিশ্চিত এসব ছাই পাশ দেখতে দেখতে আমি মারাই যেতাম। কি বানায় এসব? ছি! এবার যদি কেউ শোনে আমি বাংলা সিনেমা দেখি তবে ক্ষ্যাত বলতেই পারে। বাংলা সিনেমা দেখার কথা শুনে অনেকে ক্ষ্যাত বলেও। তবুও দেখি, কারন একসময় ভাবতাম এই মৃতপ্রায় শিল্পটাকে সাপোর্ট দিলে একদিন হয়ত মাথা তুলে দাড়াবে। এমন একটা আশা প্রায়ই উকি দেয়। তাই শত মানসিক অত্যাচার সহ্য করেও দেখি। এখন বিচিত্র টাইপের বিনোদনের জন্য দেখি তবুও গাটের পয়সা খরচ করে। আমার মতো অনেকে আছেন যারা অপছন্দ করা সত্ত্বেও এসব ছাই পাশ দেখে। কারন আমরা চিন্তা করি ভালো সিনেমা তৈরি হলে আমাদের দেশকে এই সেক্টরে বাইরে হাইলাইট করা যাবে। কিন্তু ভালো সিনেমা আর তৈরি হয়না। আর আমরা বছরের পর এসব আবর্জনা হজম করি একটা মাত্র দুরাশায়। ভাবি ভারত যদি সিনেমা দিয়ে পৃথিবীতে নিজেদের আলাদা পরিচয় তৈরী করতে পারে তবে আমরা কেন নয়? আমাদের সিনেমার সোনালী অতীতও এই দুরাশার জন্য দায়ী। দেশের শ্রেষ্ঠ আহাম্মক গুলো সিনেমায় নাম লেখায়। সিনেমা বানায় তারা আর লজ্জা পাই আমরা। এখানে মেধাবীরা যায়না। আপনারা যারা ক্ষ্যাত বলেন বিশ্বাস করেন আপনার রুচির সাথে আমার পার্থক্য নাই। শুধুমাত্র আমার একটা অহেতুক আশার জন্য আপনি আমাকে ক্ষ্যাত বলার সুযোগ পাচ্ছেন।
খারাপ কে খারাপ বলতে আমার আপত্তি নেই, তাকে ভালো বলে মাথায় তোলার ইচ্ছাও আমার নেই। ফ্রেন্ডলিস্টের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের গায়ে লাগলে কিছু করার নেই।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন