শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০১৪

বাংলা সিনেমায় ঈদের শপিং | পর্ব-১ (রম্য)

বাংলা সিনেমায় যদি ঈদের শপিং নিয়ে ডায়লগ গুলো থাকতো তবে সেগুলো কেমন হত চলুন দেখে নেই।

১। নায়ক: চৌধুরী সাহেব টাকা দিয়ে আপনি সব কিনতে পারলেও আমার কাছ থেকে পাখি ড্রেস কিনতে পারবেন না।
চৌধুরী সাহেব: দিয়ে দাও বাবা। মেয়ে খুব জেদ ধরেছে।

২। নায়ক: তোমার এত খরচ করা দেখে বিল গেটসও লজ্জা পাচ্ছে।। নায়িকা: যাহ্!!

৩। নায়ক: মা আমার সব মনে পরে গেছে। আমার স্মৃতি ফিরে এসেছে মা। আমি সখিনার জন্য কেনা পোশাক চিনতে পারছি।
মা: হ্যা বাবা হ্যা। পোশাকের দাম শুনে তুই স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছিলি। তোর স্মৃতি ফিরে এসেছে বাবা।

৪। নায়িকা: বাঁচাও। বাঁচাও।। ছেড়ে দে দোকানদার। আমি এ পোশাক কিনবো না।
দোকানদার: নিয়ে যান আপা। একেবারে ফার্স্ট ক্লাস।

৫। নায়ক: মা মা, আমি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছি।
মা: আজ তোর বাবা বেচে থাকলে এখনই তোকে ঈদের শপিং এ নিয়ে যেত (কান্না)

৬। শয়তান তুই আমার দেহ পাবি তবু পাখি পাবিনা।

৭। এই ছাড়োনা পাখিটা, কেউ দেখে ফেলবে তো।

৮। চৌধুরী সাহেব আমরা গরিব হতে পারি, কিন্তু আমরা মানুষ, আমারাও পাখি ড্রেস কিনতে পারি।
৯। মেমসাহেব আপনারা বড়লোক,
আমরা গরিব। ঈদের পোশাক আপনাদের কাছে খেলনা, ঈদ শেষে ছুড়ে ফেলে দেন।

১০। তোর এত্ত বড় স্পর্ধা, সামান্য
ট্যাক্সি ড্রাইভার হয়ে আমার মেয়ের
সাথে ঈদের শপিং করতে যাস!

১১। এই নির্জন বনে তোকে কেউ
শপিং এ নিয়ে যাবেনা সুন্দরী।

১২। তুমি এইখানে? আর ওইদিকে তোমার মাইয়া বসুন্ধরায়  গফুরের লগে শপাং শুপিং করতাছে।

১৩। এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করে লাভ নেই। এমন ভাবে কাজ করবো যাতে শপিংও হবে মেয়েও পটবে।

১৪। মানিক এই তোর হারিয়ে যাওয়া ছোট ভাই রতনের ঈদের পাঞ্জাবী।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Tricks and Tips