বালিকা বলিল, "আমি যাচ্ছি, আমার কিডনীর অপারেশন আছে।"
আমি তো অস্থির হয়ে গেলাম চিন্তায়। একটু পর জানতে পারলাম তাকে দুটো কিডনী লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। আরিব্বা! এতো দেখছি খেলনা মোবাইলে ব্যাটারী লাগানোর মত দ্রুত হয়ে গেলো। আমি মেডিক্যাল সায়েন্সের উন্নতিতে চমকিত হইলাম। কিন্তু বিধিবাম। একটুপর জানিতে পারিলাম কিডনীদ্বয় কাজ করছে না। এখন কি হবে? ডাক্তার সাথে সাথে বালিকার পিতা এবং স্বামীর কিডনী খুলে বালিকাকে লাগিয়ে দিলো। বালিকা এখন দুই কিডনীর অধিকারী। তার পিতা এবং স্বামীর এই মহান কাজ সবার জন্য নিদর্শন হয়ে থাকলো। কারন তারা সাথে সাথেই কিডনী খুলে দিয়ে দিয়েছেন। এবার বালিকা কোমায় চলে গেলো। আমি তো অস্থির হইয়া গেলাম। যার মারফত বালিকার খোজ জানতেছিলাম সে প্রতিবারই বালিকার কোনো না কোনো প্রশংসা করছিল। আমার হৃদয়টা ভরে গেলো। অবশ্য তাকে আমার অনুভূতিহীন রোবট মনে হয়েছে, কোমায় থাকা রোগীর জন্য তার আবেগ যথেষ্ঠ ছিল না। একটু পর বালিকা কোমা থেকে বেরিয়ে এলো। আরেব্বাহ! মেডিক্যাল সায়েন্সে কোমা দেখি এখন টয়লেটে যাওয়ার মত! আমি বালিকার উপর যতটা না ফিদা ছিলাম, তার চেয়ে বেশি ফিদা হলাম মেডিক্যাল সায়েন্সের উপর। একটু পর জানিতে পারিলাম বালিকা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছে। ওয়াও! অসুস্থ হওয়া এখন দেখি দু:স্বপ্নের মত। আমি তো আনন্দে আটখানা হয়ে গেলাম। আমার এই গুরুচন্ডালী লেখার নেপথ্যে রহিয়াছে এই বাধ ভাঙ্গা আনন্দ।
যাই, বালিকার নতুন লেখাগুলো শেয়ার দিতে হবে। অবশ্যই ক্যাপশন থাকবে, "মৃত্যুমুখ থেকে লড়াই করে ফিরলো লৌহদন্ড বালিকা"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন