ছাগল একটি উপকারী জন্তু। কোনো এক জনৈক ব্যক্তি ফুটবলের বদলে ছাগলের ছা কে কিক মারে এবং সেটি গোলপোস্টে ঢুকে যায়। সেই থেকেই এর নামকরণ করা হয় ছাগোল যা বিবর্তনের মাধ্যমে ছাগলে রুপান্তরিত হয়। ছাগল কোনো কাপড় চোপড় পরেনা। তাই বলে তারা অসভ্য নয়। তাদের পুরো শরীর কুন্তল দ্বারা আবৃত থাকে। ছাগলের এই কুন্তল বিভিন্ন রঙের হয় তবে কালো কুন্তলধারী ছাগলই বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এর থেকেই সম্ভবত "কালো জগতের আলো" কথাটি এসেছে। মাংস হিসেবে ছাগলের কদর এদেশে বেশ এবং দামেও অন্যান্য মাংসের চেয়ে ঢের বেশি। ছাগলের দুধের রং সাদা। যা খেলে মানুষের মনও সাদা হয়ে যায়।
ছাগলের এক জোড়া দুইটা পা আছে। কারো মতে ছাগলের পায়ের সংখ্যা অর্ধ ডজনের দুই-তৃতীয়াংশ। আবার কারো মতে সংখ্যাটা এক হালি। হালির হিসেবে ডিম পাওয়া যায়। ছাগল ডিম পাড়ে না। তবে ছাগলের কাছ থেকে ডিমের মত কালো কালো ল্যাদা পাওয়া যায়। এগুলো কে যারা ডিম মনে করে ভুল করে তাদের "ছাগল" বলে গালি দেওয়া হয়। গালি হিসেবে "ছাগলের বাচ্চা" "তুই একটা ছাগল" "তুই একটা #রামছাগল" এইগুলো বেশ সমাদৃত। বিশেষ করে বন্ধু মহলে ছাগল বলে গালি দেওয়াটা কমন ব্যপার। গালিশিল্পে বিশেষ অবদান রয়েছে ছাগলের।
ছাগলের সবচেয়ে বড় অর্জন এটি পাকিস্তানের জাতীয় পশু। পদার্থবিজ্ঞানেও ছাগলের অবদান রয়েছে।
বিজ্ঞানী নিউটন ঘানিতে গরুর বদলে ছাগল ব্যবহার করতেন। তার ছাগল টা ছিল খুব অলস। তাকে যদি আঘাত করা অর্থাৎ বল প্রয়োগ করা না হত তবে সে জায়গায় #স্থির থাকতো। ছাগল টিকে বল প্রয়োগ করা হলে ছাগলটি চলতে শুরু করতো। এই থেকে নিউটন তার গতিবিষয়ক প্রথম সূত্র "বাহ্যিক কোনো বল প্রয়োগ না করলে, স্থির বস্তু স্থির থাকে এবং গতিশীল বস্তু সমবেগে চলতে থাকে" প্রদান করেন।
একসময় তিনি ছাগল টিকে F বল প্রয়োগ করায় ছাগল টি ম্যা(ma) বলে ডেকে উঠে। সেখান থেকে তিনি F=ma সূত্রে উপনীত হন।
তিনি ঘানিতে গতিশীল ছাগলের উপর পুনরায় বল প্রয়োগ করেন। এতে ছাগলের বেগ পরিবর্তিত হয়, এবং যেদিকে বল প্রয়োগ করেছিল ছাগল টিও সেদিকে চলতে থাকে। এই থেকে তিনি তার গতিবিষয়ক ২ইয় সূত্র "বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার বস্তুত উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যেদিকে ক্রিয়া করে সেদিকে এ পরিবর্তন ঘটে" প্রদান করেন।
বেশি বল প্রয়োগ করায় ছাগল টি রেগে গিয়ে নিউটন কে রাম লাত্থি মারে। সেই থেকে নিউটন তার তৃতীয় সূত্র "প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত #প্রতিক্রিয়া আছে প্রদান করেন"
এই বহুগুণে গুণান্বিত প্রানীটির প্রিয় খাদ্য কাঠাল পাতা। কাঠাল পাতার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাঠালের চাষ করতে হবে। কিন্তু অনেকেই কাঠালের বৈজ্ঞানিক নাম জানেন না যা ছাগল এবং কাঠালের জপ্ন্য অপমানজনক। কাঠালের বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus .
তো আমরা এতক্ষন ধরে কাঠালের বৈজ্ঞানিক নাম জানার গুরুত্ব বুঝলাম।
হা হা হা!খুব সুন্দর হইছে!!!!!
উত্তরমুছুনথ্যাংকু থ্যাংকু
মুছুন