পরীক্ষার্থী সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু প্রশ্ন ফাঁসকারী সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন মেয়েটির পরীক্ষার সময় ঘনিয়া আসিতেছে, কিন্তু আর কিছুক্ষণ গেলে সেটাকে আলসেমী বা অবহেলা কোনো রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে। পরীক্ষার সময় অবৈধ রকমে ঘনিয়া আসিতেছে বটে, কিন্তু প্রশ্ন ফাঁসের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো তাহার চেয়ে কিঞ্চিৎ উপরে আছে, সেইজন্যই তাড়া।
আমি ছিলাম প্রশ্ন। সুতরাং, প্রশ্ন ফাঁস সম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিল। আমার কাজ আমি করিয়াছি, কম্পোজ হওয়ার পর প্রিন্ট হইয়াছি। তাই প্রজাপতির দুই পক্ষ, পরীক্ষার্থীপক্ষ ও ফাঁসকারীপক্ষ, ঘন ঘন বিচলিত হইয়া উঠিল।
আমাদের দেশে যে একবার ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পাইয়াছে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সম্বন্ধে তাহার মনে আর কোনো উদবেগ থাকে না। #নরমাংসের স্বাদ পাইলে মানুষের সম্বন্ধে বাঘের যে দশা হয়, প্রশ্ন সম্বন্ধে তাহার ভাবটা সেইরূপ হইয়া উঠে। অবস্থা যেমনি ও সময় যতই কম থাকুক, প্রশ্নের অভাব ঘটিবামাত্র তাহা পূরণ করিয়া লইতে তাহার কোনো দ্বিধা থাকেনা। যত দ্বিধা ও দুশ্চিন্তা সে দেখি আমাদের মত প্রশ্নদের। প্রশ্ন ফাঁসের পৌন:পুনিক #প্রস্তাবে পরীক্ষার্থীদের ফ্যাকাসে চুল এবং ফাঁসকারীদের ফ্যাকাসে, আধাপাকা, ফুলপাকা অথবা টেকো মাথা কলমের কালি প্রশ্নের কালি জুতার কালির আশীর্বাদে পুন:পুন: আলকাতরা কালো হইয়া যায়, আর বারংবার প্রশ্ন ফাঁসের আঁচেই ভাবনায় একরাত্রে পরীক্ষা স্থগিতের উপক্রম হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন