সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৪

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং আমার অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি

বিষয়টা একটু ফ্ল্যাশব্যাক থেকেই বলি। চতুর্থ শ্রেনীতে থাকাকালীন আমি পঞ্চম শ্রেনীর কয়েকটা বই নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছিলাম। তবে পঞ্চম শ্রেনীতে উঠে দেখলাম বই চেঞ্জ হয়ে গেছে, আমি যা ঘাটাঘাটি করেছিলাম তা আর নেই।  বই চেঞ্জ মানে শিক্ষক রাও একটু আধটু বিপত্তি তে পড়েছিল। এতবছর ধরে যে সিলেবাস অনুযায়ী ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়ে এসেছে সেটা পরিবর্তন হলে বিপত্তিতে পড়াই স্বাভাবিক। তাদের আগে নতুন পাঠ্যপুস্তক ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে তারপর ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দিতে হবে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের মতো দেশের অনেক স্টুডেন্ট শিক্ষকদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সার্ভিস পায়নি। এটা শিক্ষকদের দোষ না, শিক্ষাব্যবস্থার দোষ।

ষষ্ঠ শ্রেনীতে উঠার পর বই চেঞ্জ হয়েছিল কিনা জানা নেই। তবে তখনও সৃজনশীল সিস্টেম চালু হয়নি। ফলে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেনীতে আমরা পুরাতন ফর্মেটেই পড়াশোনা করলাম। এই ফর্মেটে পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত ও রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর করতে হতো,  গণিতের ক্ষেত্রে পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি মিলিয়ে ১০০মার্কের পরীক্ষা হতো। অনেক পোলাপাইন (সবাই না) বাজার থেকে গাইড কিনে এনে প্রশ্ন আর উত্তর মুখস্থ করতো এবং পরীক্ষার হলে উগরে দিতো। ব্যস টুকটাক এই ছিল ২০০৮সাল পর্যন্ত সারাদেশের পরীক্ষা পদ্ধতি তথা শিক্ষা ব্যবস্থা। একটা চরম সত্য কথা হলো দেশের খুব অল্প সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য জায়গায় শিক্ষকরাই ছাত্রছাত্রীদের মুখস্থ বিদ্যায় অভ্যস্থ করিয়ে নিতেন। অনুপ্রেরনা দান কারী শিক্ষকের সংখ্যা খুবই কম, খুবই কম। ছিল, আছে হয়তো থাকবে। তাই পোলাপাইন মুখস্থ ছাড়া কিছু বুঝতো না, জ্যামিতির উপপাদ্য সম্পাদ্য তো মুখস্ত করতোই সাথে অনেকে বীজগনিত পাটিগনিতও মুখস্থ করতো। এমন অবস্থা ছিল ডিনামাইট মেরে এভারেস্ট ধসিয়ে দেয়া গেলেও মুখস্থ করার অভ্যাস ছাড়বে না পোলাপাইন।

২০০৯ সালে অষ্টম শ্রেনীতে উঠার পর চালু হলো সৃজনশীল পদ্ধতি। পোলাপাইন নামই শুনলো প্রথম চেহারা দেখা তো দূরের কথা। স্যারেরাও জানেনা এই সৃজনশীল পদ্ধতিটা আসলে কি? তাদের জিজ্ঞাসা করলেও আম আম করে মুখটা বাংলার "৫" করে রাখে। পড়াশোনাও তাই খাপছাড়া ভাবে হতে থাকলো। অল্প কিছুদিন যাওয়ার পর প্রশ্নের কাঠামো সম্পর্কে টুকটাক ধারনা পেলাম। কিন্তু চিরকাল মুখস্থ বিদ্যায় অভ্যস্থ স্টুডেন্ট সত্যিই কিছু "সৃজন" করবে সে ব্যপারে সন্দেহ করা তো দূরে থাক, বিষয়টাকে অবাস্তব বলেই মনে হলো। আমার মুখস্থ করার অভ্যাস ছিলনা দেখে টুকটাক আনন্দেই ছিলাম। প্রথম সাময়িক পরীক্ষার আগেও জানতাম না আসলে আমরা ঠিক কি সৃজন করবো। অন্যান্য সাবজেক্টে যাই হোক সৃজনশীলের নামে সবাই মুখস্থবিদ্যাই উগরাচ্ছিল। সমস্যা বাধলো গনিতে। যারা চিরকাল উপপাদ্য সম্পাদ্য মুখস্থ করে এসেছে তাদের তো গনিতের সৃজনশীল প্রশ্ন দেখে মাথা খারাপ। তার উপর গনিতে অবজেক্টিভ থাকায় প্যান্ট খারাপের উপক্রম। ফলস্বরুপ সেবার গনিতে সারাদেশেই রেজাল্ট খারাপ। অন্যান্য সাবজেক্টেও রেজাল্ট খারাপ ছিল। সে রেজাল্ট অভিভাবক কে দেখানোর পর তারা যে তার সন্তান কে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ কান মলা দিয়েছেন এ ব্যপারে আমি মোটামুটি নিশ্চিত। কারন আমাদের অভিভাবক দের শিক্ষাপদ্ধতি নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই, তাদের চাই রেজাল্ট। এই একটা বছর আমরা বুঝলাম না সৃজনশীলে মুখস্থ করে না সৃষ্টি করে। তবে এটুকু বুঝলাম লিখতে লিখতে হাত ব্যথা হলেও লিখা ফুরাবে না।

নবম শ্রেনিতে উঠে আমরা দুইদিন পরপরই নতুন নতুন খবর পেতে থাকি। একবার শুনি সৃজনশীল সিস্টেম মার খেয়ে গিয়েছে, আরেকবার শুনি সব সাবজেক্ট সৃজনশীল হবে তো আরেকবার শুনি চার সাবজেক্ট সৃজনশীল হবে। এমন হরেক রকম নিউজ পেতে থাকি তাই প্রায় সবগুলো নিউজকেই অবিশ্বাস করলাম। গাইড ব্যবসায়ীদেরই মজা। তারা প্রথমে সাধারন পদ্ধতির গাইড বের করলো, কিছুদিন পর সৃজনশীল গাইড বের করলো। গাইড পড়ুয়ারা দুই ধরনের গাইডই কিনলো। প্রথম সাময়িক পরীক্ষা যেদিন শুরু সেদিনও আমরা জানিনা আসলে আমাদের সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে না মুখস্থবিদ্যা উদ্গীরন করন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। যদিও আমার তখন মনে হয়েছিল সৃজনশীল বলে কিছু নেই। সবই মিডিয়ার সৃষ্টি। যাই হোক প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শেষে বুঝলাম গনিত বাদে সব সাবজেক্ট সৃজনশীল।

"এদেশে বাজারে সৃজনশীল পদ্ধতির হরেক রকমের গাইড পাওয়া যায়, স্টুডেন্টরা সৃজনশীল পদ্ধতির গাইড কিনে সেটা মুখস্থ করে এবং পরীক্ষায় তা উদগীরন করে। এ পদ্ধতিটা এখনো চালু আছে কারন বাজারে সৃজনশীল গাইডের চাহিদা কমে যাইনি।" এভাবেই সৃজনশীল পদ্ধতির মুখস্থবিদ্যা প্রতিষ্ঠা লাভ করলো।  দশম শ্রেনীতে উঠে খেয়াল করলাম ফিজিক্স কেমিস্ট্রিতে উচ্চমাধ্যমিকের টপিক থেকে প্রশ্ন করা আরম্ভ করেছে। মানে কি? সৃজনশীল মানেই কি মাধ্যমিক লেভেলে থেকে উচ্চমাধ্যমিক লেভেলের প্রশ্নের উত্তর করা? যাই হোক টুকটাক ৩বছর আমরা এই সৃজনশীল পদ্ধতির নামে নাস্তানাবুদ হতে থাকলাম। কারন গতানুগতিক ধারার প্রশ্ন থেকে সেগুলো অনেক জটিল ছিল আর আমরাও এ পদ্ধতিতে দক্ষ হতে পারিনি তখন।  ৩বছরে না শিক্ষকরা জানলো সৃজনশীল কি না জানলো শিক্ষার্থীরা। অবস্থাটা ঠিক গভীর পানিতে হাবুডুবু খাওয়া সাঁতার না জানা মানুষটার মতো। এই হাবুডুবু খেতে খেতেই এস এস সি পার করলাম।

কলেজে উঠে আবার আমাদের বেলায়ই সব সাবজেক্ট সৃজনশীল হলো। কলেজের শিক্ষকদেরও অবস্থা সেই একই। কিভাবে প্রশ্ন করবে কিভাবে পড়ালে ঠিক হবে সেটাই ঠিক করতে পারলো না। অনেকে সঠিকভাবে সৃজনশীল প্রশ্নটাও করতে পারেনা। মোটামুটি আমাদের মাঝে বদ্ধমূল ধারনা জন্মে গিয়েছে সৃজনশীল মানেই প্যারা। এইখানে মুখস্থের আর কোনো কারবার নেই। সম্ভবত প্রয়োজনের তাগিদেই অনেকে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছিল। তবে অবশ্যই সেটা পর্যাপ্ত নয়। সেকেন্ড ইয়ারে উঠে দেখলাম আমাদের পরের ব্যাচের সব বইয়ের সাইজ চেঞ্জ হয়ে ছোট হয়ে গেছে। মোটামুটি ভেতরের টপিকেও বেশ পরিবর্তন। আচ্ছা এই বছর বছর বই চেঞ্জ সিলেবাস চেঞ্জ কোন ধরনের রসিকতা? শিক্ষকরা এর ফলে কোনো পদ্ধতিতেই ভালোভাবে অভ্যস্থ হতে পারছে না, না পারছে ভালো করে শেখাতে।

এবারের এইচ এস সি পরীক্ষার ব্যপার তো সবাই জানেন। ব্যপক আকারে প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে এদেশের স্টুডেন্টদের এক বিরাট অংশকে নীতিহীন বানানোর প্রাথমিক প্রক্রিয়া চলল। যারা এই বয়সেই এসে নীতি বিসর্জন দিলো তারা ভবিষ্যতে কেন নীতি বিসর্জন দেবেনা? আজ নীতি বিসর্জন দিতে বাধ্য করা হলো, কাল হয়তো সে স্বেচ্ছায় দূর্নীতি করবে। প্রশ্ন ফাঁসের এই জোয়ারে ক্লাসের সবচেয়ে ভালো স্টুডেন্ট টিও প্রশ্ন নিলো কাপা কাপা হাতে। তার ভয় কি লাভ রিস্ক নিয়ে? এমনিতেই সৃজনশীল তাই উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করলে বেকায়দা। তাই সে ভালো ছাত্র হওয়া স্বত্ত্বেও পারিপার্শিক অবস্থার প্রেক্ষিতে নীতিটা বিসর্জনই দিয়ে দিলো। এবার মনে করি ২০% স্টুডেন্ট স্রোতের বিপরীতে গা ভাসিয়েছে। তাদের মাঝে কিছু বিশ্বাস করেনি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, কিছু নিজের উপর আস্থা রেখেছে থেকেছে নীতিবান আর কিছু আছে এক্সট্রা অর্ডিনারি। এক্সট্রা অর্ডিনারিদের আমি আলোচনায় না টানি। এই প্রশ্ন না নেওয়া ছাত্রটি নিজের মেধা অনুযায়ি রেজাল্ট করেছে, কেউ হয়তো এ প্লাসও পেয়েছে। অন্যসময় হলে সে হয়তো এটাকে মেনে নিতো, কিন্তু যখন দেখছে প্রশ্ন পেয়ে একজন তার চেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছে তখন কি তার খারাপ লাগবে না? যখন দেখবে প্রশ্ন পাওয়া ছাত্রটি দেশের সব পাবলিক ভার্সিটি তে পরীক্ষা দিতে পারছে অথচ সে পারছে না তখনও কি তার খারাপ লাগবে না? ফিজিক্স প্রশ্ন হার্ড হওয়ায় সে এটাতে একটু খারাপ করে ফেলেছে তাই সে অনেক পাবলিক ভার্সিটি তে পরীক্ষা দিতে পারছে না, অথচ প্রশ্ন পেয়ে ফিজিক্সে ভালো করে ফেলা ছাত্রটি সব ভার্সিটি তে পরীক্ষা দিতে পারছে সেটা দেখেও কি তার খারাপ লাগবে না? প্লাস মিস হয়েছে দেখে বাবা বকছে, অথচ প্রশ্ন নিয়ে প্লাস পাওয়া ছাত্রটির বাবা তার সন্তানকে মাথায় তুলে রেখেছে তখনও কি নীতিবান ছেলেটার ইচ্ছা হবে না নীতি বিসর্জন দিতে?

অনেকেই বলবে যারা যোগ্য তারা প্রশ্ন না পেলেও প্লাস পেতো। হ্যা এটা আমিও মানি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় এইচ এস সির রেজাল্টের প্রতিফলন ঘটেনা এটা কিন্তু সত্য। অনেকেই প্লাস না পেয়েও চান্স পায় অনেকে প্লাস পেয়েও চান্স পায় না।  কিন্তু যে ছেলেটা প্লাস না পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় তাকে কি এইচ এস সির রেজাল্টের ভিত্তিতে অযোগ্য বলা যাবে? সে হয়তো প্রশ্ন না পেয়ে এ গ্রেড পেয়েছে কিন্তু নিজের যোগ্যতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে, তবে কি সে এইচ এস সির রেজাল্টের ভিত্তিতে প্লাস পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পাওয়া ছাত্রটির চেয়ে অযোগ্য হয়ে যাবে? তো সমস্যা কি? বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময়ই দেখা যাবে কোনটা গাছপাকা আম আর কোনটা ফরমালিন দেয়া আম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কি আসলেই যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ দিচ্ছে? তারা বিভিন্ন গ্রেডিং এর মার প্যাচে আগেই তো নীতিবান ছেলেটাকে সরিয়ে দিলো। তার বদলে সুযোগ দিলো প্রশ্ন পাওয়া ছেলেটাকে। একটু ব্যাখ্যা করি। মনে করি একজন শুধু ফিজিক্স বাদে সব সাবজেক্টে প্লাস পেয়েছে। দূর্ভাগ্যক্রমে ফিজিক্সে চলে এসেছে মাইনাস। সে নিজ মেধাতেই এ রেজাল্ট করেছে। এবার আরেকজন প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়ে সব সাবজেক্টে এ গ্রেড পেয়েছে। তাহলে তার টোটাল পয়েন্ট দাড়ালো ৪.৪। বাস্তবতা হলো এই প্রশ্ন পেয়ে ৪.৪ পাওয়া ছেলে সব পাবলিক ভার্সিটিতে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবে অথচ প্রশ্ন না পেয়ে ফিজিক্সে মাইনাসধারী ছাত্রটি সব ভার্সিটিতে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবেনা। ভার্সিটি গুলো না মূল্যায়ন করলো নীতিবান ছেলেকে না মূল্যায়ন করলো জিপিএ ৫ পাওয়া ছেলেকে।    বিশ্ববিদ্যালয় গুলো এ ২০% ছাত্রকে যদি সুযোগ না দেয় ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার তবে কি অবিচার করা হবেনা? যেহেতু প্রশ্নফাঁস হয়েছিল তাই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর উচিত ছিল প্রাপ্ত গ্রেড কে যথাসম্ভব কম প্রাধান্য দেয়া।
     
আবার আরেকটা বিষয় লক্ষনীয় তা হলো এবছর সব বোর্ডের পাশের হারই ৮০% এর আশেপাশে, অথচ যশোর বোর্ডের পাশের হার ৬০%। অর্থাত এখানে অন্যান্য বোর্ডের তুলনায় খাতা যথেষ্ঠ কঠিন করে দেখা হয়েছে ফলে সামগ্রিক ভাবে কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছে এ বোর্ডের স্টুডেন্ট রা।

এইচ এস সিতে পাশ করা স্টুডেন্ট দূরের কথা, মোট প্লাস পাওয়া স্টুডেন্টদের অর্ধেকও সিট নেই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে। ফলে ক্রমশই হতাশাবাদীর সংখ্যা বাড়ছে এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের করছে হতাশ। সত্যি কথা জগাখিচুড়িও এর চাইতে ঢের ভালো।

"আমরা  হাটতে শেখার আগেই আমাদের পায়ে একবার ছোট জুতা, আরেকবার বড় জুতা, একবার উচু জুতা, আরেকবার নিচু জুতা, আরেকবার চাকা লাগানো জুতা পরিয়ে দেয়া হচ্ছে পরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে আমরা হাটতে শেখার আগেই অভ্যস্থ না হওয়ায় পা মচকে ফেলছি নয়তো ভেঙ্গে ফেলছি। শেষমেশ কাউকে হয়তো হুইল চেয়ারেই বাকি জীবন টা কাটাতে হচ্ছে। এই হচ্ছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা"

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Tricks and Tips